স্থানীয় সংবাদ

ধানের শীষ জনগণের আশা, অধিকার ও মুক্তির প্রতীক

# গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণকালে শফিকুল আলম তুহিন #

খবর বিজ্ঞপ্তি ঃ খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা-২ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, তারেক রহমানের দুই চোখে পরিবর্তনের আলো, তাঁর দৃষ্টিজুড়ে দেশ ও দেশের জনগণ। পরিবর্তনের আওয়াজ তুলে তারেক রহমান রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা দিয়েছেন, কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে গণঐক্যের ডাক দিয়েছেন, জনকল্যাণে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভাগ্য পরিবর্তনে একগুচ্ছ পরিকল্পনা হাজির করেছেন। তিনি বলেন, বিএনপির হাতেই দেশ ও দেশের গণতন্ত্র নিরাপদ। তাই আগামী নির্বাচনে সুন্দর, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে ধানের শীষে ভোট দিতে হবে। মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ। সামনের ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে-এটাই দেশের জনগণের প্রত্যাশা। দেশের জনগণ ভোট দিতে প্রস্তুত। ভোট নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করবে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের প্রতিহত করতে হবে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় সোনাডাঙ্গার বয়রা বাজার এলাকায় বিএনপির ৩১ দফার প্রচারপত্র বিতরণ ও গণসংযোগকালে সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি পিআর পদ্ধতিতে বিশ্বাসী নয় বলে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘পিআর পদ্ধতিতে জনগণের ইচ্ছাকে উপেক্ষা করা হবে। জনগণ তাদের নিজের এলাকার নেতাকে ত্যাগ ও জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে নির্বাচিত করতে চান। তাই কোনো সংখ্যার অনুপাতে নয়, দেশের বিদ্যমান নির্বাচন পদ্ধতিতেই আস্থা রাখতে চায় বিএনপি। যারা নতুন নতুন কথা বলে নির্বাচন ও গণতন্ত্রকে প্রলম্বিত করার বাহানা খুঁজছেন, তারা খুঁজতেই পারেন কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ বিগত ৫৪ বছর ধরে সরাসরি ভোট দিতে অভ্যস্ত। বাংলাদেশের সংবিধানে রয়েছে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচন করা। এতেই বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে। তারেক রহমানকে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন স্বপ্নবাজ নেতা আখ্যায়িত করে শফিকুল আলম তুহিন বলেন, তাঁর স্বপ্ন একটি সুখী, সমৃদ্ধশালী, বৈষম্যহীন, সাম্য ও মানবিক মর্যাদার ন্যায়ভিত্তিক অন্তর্ভুক্তিমূলক ইতিবাচক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। তারেক রহমানের লালিত সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগ এসেছে। ধর্মকে ব্যবহার করে একটি অপশক্তিকে ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছে। তাদের ব্যাপারে সবাইকে সর্তক থাকতে হবে।
যারা ধর্মের নামে ভোট চায়, তাদের ১৯৭১ সালের ভূমিকা নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সেই অপশক্তি এখনো ছদ্মবেশে সক্রিয়। তাদের মুখোশ উন্মোচন করা প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিকের দায়িত্ব। তিনি আরও বলেন, “ধানের শীষ শুধু একটি প্রতীক নয়-এটি জনগণের আশা, অধিকার ও মুক্তির প্রতীক। তাই ঘরে ঘরে গিয়ে মা-বোনদের আহ্বান জানাতে হবে, ভোটের মাধ্যমে এই দেশের মানুষ যেন আবারও গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার অধিকার ফিরে পায়।”এসময় উপস্থিত ছিলেন কে. এম. হুমায়ুন কবীর, আসাদুজ্জামান আসাদ, জাকির ইকবাল বাপ্পি, নাসির উদ্দিন, ইশতিয়াক উদ্দিন লাভলু, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, শেখ ফারুক হোসেন, শফিকুল ইসলাম শাহিন, কে.এম জলিল,কাজী নজরুল ইসলাম, মাহমুদ আলম বাবু মোড়ল, মোস্তফা কামাল, শেখ আজিজুর রহমান ও মো. হাবিবুর রহমান,জাহাঙ্গীর হোসেন,বায়েজিদ হোসেন,আমিন আহমেদ, আবুল ওয়ারা, কাজী মিজানুর রহমান, ওয়াহিদুজ্জামান হাওলাদার, শওকত আলী লাবু বিশ্বাস, আরিফুল ইসলাম বিপ্লব, মোঃ সাইফুল ইসলাম, জামাল তালুকদার, আহসান মৃধা খোকন, আহসান হাবিব বাবু,ন মিজানুর রশিদ মিজান, জামির হোসেন দিপু, মঈনুল ইসলাম কিরন, শেখ সরোয়ার, শেখ মনিরুল ইসলাম, বক্কার মীর, ডাঃ শাহিন আহসান, আফজাল হোসেন, সোহরাব হোসেন, ইয়াসিন মোল্লা, ফরহাদ হোসেন, ইয়াজুল ইসলাম এ্যাপোলো, আকবার হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, রুবেল জমাদ্দার, হাবিবুর রহমান, নাসির হোসেন, দুলাল আহমেদ, এস কে রানা, সৈয়দ নাদিম আশফাক, মামুনুর রশিদ, শাহরিয়ার সাদী, এ জে কুদ্দুস, জি এম ইব্রাহিম, এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নাসরিন হক শ্রাবণী, হাসনা হেনা, আমিন হোসেন মিঠু, মনিরুজ্জামান মনি, কামরুন্নাহার হেনা, মুন্নি জামান, আতিকুর রহমান, ফারুক খান, মোঃ আলামিন, মোঃ আতিক, ছাত্রদলের রমজান আলী প্রমুখ।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button