স্থানীয় সংবাদ

জামায়াত একটি চাঁদাবাজীমুক্ত দুর্নীতিমুক্ত, ধর্ষণমুক্ত ও স্বৈরাচারমুক্ত নিরপেক্ষ বাংলাদেশ উপহার দেবে : অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান

# ৮ নং ওয়ার্ডে গনসংযোগ #

স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় এলে দেশে আর চাঁদাবাজি থাকবে না। আমরা অন্য দলের মতো পকেটে টাকা রাখব না। ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে শাসন কায়েম করব ইনশাআল্লাহ। জনগণের পাশে থেকে সেবক হিসাবে কাজ করব। তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে মানুষ নতুন চিন্তা করছে। একবার আমাদেরকে দেখুন-আমরা শাসক নই, আপনাদের ভাই এবং সেবক। খুলনা-৩ আসনের এই প্রার্থী বলেন, দেশের মানুষ গত ৫৪ বছর বিভিন্ন দলকে ক্ষমতায় এনেছেন, এবার জামায়াতকে সুযোগ দিন। ইনশাআল্লাহ, জামায়াতে ইসলামীর একটি চাঁদাবাজীমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত, ধর্ষণমুক্ত ও স্বৈরাচারমুক্ত নিরপেক্ষ বাংলাদেশ উপহার দেবে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকালে খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানা ৮ নং ওয়ার্ডের খুলনা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ক্রিসেন্ট জুট মিল পর্যন্ত গণসংযোগকালে তিনি এ সব কথা বলেন।
এ সময় তার সঙ্গে খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, সহ-সভাপতি মাহফুজুর রহমান, খালিশপুর থানা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুর রহিম, ৮ নং ওয়ার্ড সভাপতি মো. সাইদুর রহমান, জামায়াত নেতা গাজী দেলোয়ার হোসেন, সেক্রেটারি বিপ্লব হোসেন, আল-কাওসার আমিন, সেক্রেটারি কামাল হোসেন, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা নুরুল আমিন, আব্দুল রাজ্জাক, আব্দুল আউয়াল, নুর নবী, শ্রমিক নেতা বুলবুল কবির, শহিদুল ইসলাম, বজলুল রহমান, বাকী বিল্লাহ, খোরশেদ আলম বুলু, হাফেজ নাসরুল্লাহ, যুবনেতা নাঈম হোসেন, ইসারুল ইসলাম, মো. সুমন, মো. শাওন, ছাত্রশিবির নেতা মেজবাহ উদ্দিন, জুবায়ের আহমেদ, মিকাইল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মহানগরী আমীর বলেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উভয় কক্ষের নির্বাচন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ’, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা’ এবং ‘স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ’ করার ৫ দফা দাবি জামায়াতে ইসলামীর একক দাবি নয়, পুরো জাতি ৫ দফা দাবি বাস্তবায়ন চায়। ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়া সম্ভব। জাতি এমন একটি নির্বাচনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।
তিনি বলেন, বিগত ১৭ বছর জাতি নির্বিঘেœ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ কখনো দিনের ভোট রাতে করেছে, কখনো ১৫৪ আসনে বিনা ভোটে সরকার গঠনের নিশ্চয়তা নিয়েছে, কখনো আমি-ডামি নির্বাচন করে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আওয়ামী লীগের পতনের পর জাতি নির্বিঘেœ ভোটাধিকার প্রয়োগের আশা করছে। অন্তবতীকালীন সরকার জাতিকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিবে বলে জাতি বিশ্বাস করে। ঐ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়তে ইনসাফ ও ন্যায়ের প্রতীক দাঁড়িপাল্ল সমর্থন দিতে তিনি ঢাকা-৮ সংসদীয় এলাকার জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ-ন্যায় ও নীতির বাংলাদেশ। তাই সবাইকে দাঁড়িপাল্লায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাই। তিনি বলেন, একবার দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিয়ে দেখুন-দেশে থাকবে না ধর্ষণ, থাকবে না চুরি-দুর্নীতি। সকল নাগরিক সমান অধিকার নিয়ে শান্তিতে বসবাস করবে ইনশাআল্লাহ।”

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button