নদী সাগরে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা অজুহাতে মাছের দাম চড়া কমেনি সবজির দাম

শেখ ফেরদৌস রহমান ঃ চলছে ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা। নদী, সাগরে জাল ফেলতে পারছেনা জেলেরা। আর এই অজুহাতে মাছের বাজার যাচ্ছে বেশ চড়া, এমনকি সবজির বাজারেও কমেনি দাম। গেল ৪ অক্টোবর থেকে ২৫শে অক্টেবর পর্যন্ত মা ইলিশ সংরক্ষণে মৎস অধিদপ্তরের এই নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রভাব ফেলেছে মাছের বাজারে। এমনকি সামুদ্রিক মাছের সংকটের কারণে মাছের বাজার এমন যাচ্ছে। এ দিকে মাছ ব্যবসায়িরা বলছেন মাছের আড়তে মাছ নেই । আগে সামুদ্রিক, মাছসহ নদ, নদীর মাছের সরবরাহ ছিল। এখন চাষের আর বিলের মাছ, তেমনটি পাওয়া যাচ্ছেনা। ডুমুরিয়া, ময়মনসিংহ, বিল ডাকাতিয়াসহ স্থানীয় নদীর ওপার থেকে মাছ আসছে। এছাড়া অধিকাংশ পোনা মাছ আসছে যে গুলো বাজারে চাহিদার তুলনায় অনেক কম সরবারাহ যে কারণে মাছের বাজার সামান্য একটু দাম বেশি। তবে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পর স্বাভাবিক হবে মাছের বাজার। এদিকে বিভিন্ন বাজার ঘুরে সরেজমিনে দেখা যায় রুই মাঝারী প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, কাতলা মাঝারী প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, শিং বড় কেজি ৬’শ টাকা, ছোট সাইজের রয়না ৭শ’ টাকা প্রতি কেজি, কই দেশী ছোট সাইজ ৬শ টাকা কেজি, পাঙ্গাস প্রতি কেজি ১৮০ টাকা থেকে ২২০ টাকা,চিংড়ি ছোট সাইজ ৭২০ টাকা থেকে প্রকার ভেদে ৯শ টাকা প্রতি কেজি, এছাড়া ব্লাড কাপ বড় সাইজ ৪৫০ টাকা প্রতি কেজি, তেলাপিয়া প্রাতি কেজি ২২০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সবজি বাজারে প্রতিকেজি বেগুন ১৪০ টাকা, ঢেড়শ ৮০ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০-৬০ টাকা, কুশি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, টমেটো দেশি ২৬০ টাকা, কাকরোল ১০০ টাকা, বরবটি সীম ১৪০-১৫০ টাকা, কাঁচ কলা হালি ৫০ টাকা দরে , কাচাঝাল বরজের ২৮০ টাকা দকেজি, তবে, লম্বাঝালের দাম ১৬০ টাকা কেজি, পটল ৮০ টাকা কেজি, বরবটি ৯০ টাকা কেজি, পেপে ৪০ টাকা কেজি, বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খুচরা সবজি বিক্রেতা মো. মান্নান এছাড়া গরুর মাংস ৭০০ টাকায় ও খাশির মাংস সাড়ে ১ হাজার টাকা, মুরগী ব্রয়লার প্রতিকেজি ১৮০ টাকা, কক ২৭০ টাকা, সোনালী ২৬০, দেশি ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে, সবজি বিক্রেতারা বলছেন অতি বৃষ্টির কারণে সবজির আবাদ নষ্ট হওয়ার কারণে কিছুটা প্রভাব ফেলেছে সবজির বাজারে। শীত মৌসুমের আগে দাম নাগালে আসবে।আমরা পরিবহণ খরচ, আড়ৎ খরচ সহ সামন্য কিছু টাকা বেশি নেই।সরবারহ বেশি থাকলে দাম কমবে আর কম সরবারহ থাকলে দাম বেশি হবে।