স্থানীয় সংবাদ

দিঘলিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী রিপনের আদালতে স্বীকারোক্তি

# তার অস্ত্রের ভান্ডার সহযোগীদের হেফাজতে
# সন্ধান মিলেছে পর্দ্দার আড়ালের মাদক কারবারীদের

দিঘলিয়া প্রতিনিধি ঃ
দিঘলিয়া উপজেলার কুখ্যাত শীর্ষ সন্ত্রাসী কনডম রিপন গ্রেফতারে স্বস্তি ফিরলেও আগ্নেয়াস্ত্রসহ সহযোগীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে। অভিযান পরিচালনাকালীন পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে অস্ত্র নিয়ে পালিয়ে যায় এক সহযোগী। অস্ত্র ভান্ডার রয়েছে সহযোগীদের কাছে। তাদের চাঁদাবাজিতে আতংকিত ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ। গডফাদারের তদবিরে রিমান্ড দাবি করছেনা থানা পুলিশ এমনটাই চাউর হচ্ছে এমনটাই এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষের মাঝে। পুলিশ বলছে, অস্ত্র ও তার আশ্রয় প্রশ্রয়দাতা ও সহযোগীদের নাম সে স্বীকার করেছে। তাদের গ্রেফতার বিলম্ব পুলিশের কৌশল। তাদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করা হবে শীগ্রই। শুধু তাই নয় তার প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে পর্দার আড়ালে থেকে নেশাদ্রব্য আমদানি নির্দিষ্ট লোক দিয়ে বিক্রি করা হতো তাদেরকেউ গ্রেফতার করা হবে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, দিঘলিয়া উপজেলার কুখ্যাত সন্ত্রাসী হত্যাসহ ডজন খানেক মামলার আসামী কনডম রিপন। গত ৫ আগষ্ট ‘২৪ এর পর থেকে দিঘলিয়া উপজেলায় একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের বিতর্কিত নেতার পৃষ্ঠপোষকতায় দিঘলিয়া উপজেলায় ব্যাপক হারে চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও ভিন্নমতাবলম্বীদের বাড়িতে ডাকাতি করে। এলাকার ভুক্তভোগীমহল ও এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষের লিখিত ও মৌখিক অনেক অভিযোগ পড়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে। যার কারণে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ে। উপায়ান্তর না পেয়ে কনডম রিপনকে গ্রেফতার করে যৌথবাহিনী।
এদিকে কনডম রিপনকে গ্রেফতারের পর তার অস্ত্র ভান্ডারের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। অস্ত্রভান্ডার রয়েছে তার আশ্রয় প্রশ্রয়দাতা ও সহযোগীদের কাছে। সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে। সূত্র জানায়, রিপনকে গ্রেফতারের সময় যৌথ বাহিনী যে বাড়িটি ঘিরে ফেলে সে বাড়ি থেকে বোরকা পরে রিপনের এক সহযোগী অস্ত্রসহ বেরিয়ে যায়। যার কাছে ছিল অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। তার সাথে সর্বদা ঢাল হয়ে চলতো তার সহোগীরা। রাতে ও দিনে পাহারা দিত তাকে। রাতে অনেকের বাড়িতে শেল্টার দেওয়া হতো। তাকে ব্যবহার করে একটা মহল শুধু মাদকের লাখ লাখ টাকার বাণিজ্যই করেনি, তাকে দিয়ে ডাকাতি ও চাঁদাবাজিতেও পিছিয়ে ছিলনা। এমনকি অনেকের পরিবারের ঘরের দরজা খুলে দিয়েছিল কনডম রিপনের জন্য এবং দিবারাতে ছেলেদের পাহারার কনডমের নিরাপদ পাহারার ব্যাবস্থাও করে দিয়েছিল অনেকে।
অন্যদিকে কনডম রিপনকে মুক্ত করতে তার সহযোগীদের চাঁদাবাজি অনেকগুণ বেড়েছে। তার সহযোগীরা বিভিন্ন লোকজনকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চাঁদা দাবি করছে। এদের ভয়ে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
কুখ্যাত সন্ত্রাসী কনডম রিপনকে গ্রেফতারের পর তার অস্ত্র ভান্ডার উদ্ধারে পুলিশের বিলম্ব জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অস্ত্র ভান্ডার উদ্ধারে রিপনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে অদ্যবধি রিমান্ডের আবেদন করেনি পুলিশ এমনই চাওর হচ্ছে এলাকায়। অভিযোগ রয়েছে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের এক বিতর্কিত নেতা কনডম রিপনকে পৃষ্ঠপোষকতা করায় তিনি পুলিশকে প্রভাবিত করছে। যার কারণে রিমান্ডের আবেদন, সহযোগীদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারে কোন দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ করেননি পুলিশ এমনটাই মানুষের মুখে মুখে। এ ব্যাপারে কথা হয় দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ এইচ এম শাহীনের সাথে। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, যদি কোনো আসামী গ্রেফতার হওয়ার পর স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় এবং তার স্বীকারোক্তি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি রেকর্ড করা হয়। তাহলে তাকে রিমান্ডে আনার প্রয়োজন হয়না। গ্রেফতারকৃত রিপন পুলিশের নিকট এবং বিজ্ঞ আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধী দিয়েছে। তার অস্ত্র কাদের কাছে আছে। কারা মাদক সরবরাহ ও কেনাবেচা করাতো, কারা তার আশ্রয় প্রশ্রয়দাতা, সবই স্বীকার করেছে। সহযোগীদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধার শুধু সময়ের ব্যপার।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button