খুলনায় ভোক্তা অধিকারের অভিযান : ৮০ হাজার জরিমানা

# দৌলতপুরে মেসার্স সাগর ফুড প্রোডাক্টকে ২৫ হাজার জরিমানা # জনস্বার্থে অভিযান চলমান রাখার আশ^াস জানিয়েছেন : সংশ্লিস্টরা #
স্টাফ রিপোর্টার : খুলনার নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রন রাখতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় ও খুলনা বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন জেলা কার্যালয় সমূহ নিয়মিত বাজার তদারকিসহ অভিযান অব্যহত রয়েছে। ওই ধারাবাহিকতায় রবিবার (১৯ অক্টোবর) ভোক্তা অধিকারের ৭ টিম তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করে। এসময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসমূহের বাজার দর ও ক্রয় ভাউচার যাচাই করা হয় এবং সকল ব্যবসায়ীকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রির নির্দেশনা দেয়া হয়। তদারকিকালে সরকার নির্ধারিত মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং কেউ সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশি মূল্য নিলে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। অভিযান কালে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বাজার তদারকি ও জরিমানা করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খুলনা বিভাগী কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ সেলিম এর খুলনা মহানগরীর নেতৃত্বে দৌলতপুর থানার পাবলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেসার্স সাগর ফুড প্রোডাক্টকে অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্য দ্রব্যে উৎপাদন করার অপরাধে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক দিনারা জামানের এর নেতৃত্বে খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর থানার পাবলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে লিজা বেসন মিলকে অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্য দ্রব্য প্রক্রিয়াকরণ করার অপরাধে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মাগুরা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ সজল আহম্মেদ এর নেতৃত্বে মুহাম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেসার্স ভাই বোন বেকারিকে অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্য দ্রব্য উৎপাদন করার অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ মাসুম আলী এর নেতৃত্বে ভেড়ামারা উপজেলার ভেড়ামারা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে জ্যোতি বীজ ভান্ডারকে পণ্যের মোড়ক যথাযথ ব্যবহার না করা ও যথাযথ পন্য সরবরাহ না করার অপরাধে ৮ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। বাগেরহাট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শরিফা সুলতানা এর নেতৃত্বে সদর উপজেলার নাগের বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভাই ভাই মোয়া ঘরকে অবৈধ প্রক্রিয়ায় খাদ্য উৎপাদন করার অপরাধে ৫ হাজার টাকা এবং ভোলানাথ চানচুরকে যথাযথ পন্য সরবরাহ না করার অপরাধে ২ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান তানভীর এর নেতৃত্বে সদর উপজেলার পাকাপোল বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে সুবর্না স্টোরকে পণ্যের মোড়ক যথাযথ ব্যবহার না করার অপরাধে ৮ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। যশোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ সেলিমুজ্জামানের নেতৃত্বে সদর উপজেলার চুয়াডাঙ্গা কাঁচা বাজার এলাকায় অভিযান মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে রাজু স্টোরকে ১ হাজার টাকা এবং রেজাউল স্টোরকে ১ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। অভিযানে ৯ টি প্রতিষ্ঠানকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। অভিযান চলাকালে ব্যবসায়ীদেরকে সচেতন করার পাশাপাশি বাধ্যতামূলকভাবে মূল্য তালিকা দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন ও ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ এবং নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি করার নির্দেশনা দেন সংশ্লিষ্টরা। জনস্বার্থে চলমান অভিযান অব্যহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মাদ সেলিম জানান, খুলনার বাজারে আমাদের নিয়মিত তদারকিসহ অভিযান অব্যহত আছে। ভোক্তার অধিকার লঙ্ঘিত করলে ওই ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা হিসাবে জরিমানা আরোপসহ আদায় করা হচ্ছে। খুলনার বাজার সমূহে কোনো ব্যবসায়ী বা প্রতিষ্ঠান সরকার প্রদত্ত নিয়মনীতির বাইরে ব্যবসা পরিচালনা করলে তাদের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। জনস্বার্থে আমাদের কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।