খালিশপুর কলেজিয়েট গার্লস স্কুলের শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন

# চার দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত খালিশপুর অঞ্চলে নারী শিক্ষার অগ্রগতির লক্ষ্যে ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠিত খালিশপুর কলেজিয়েট গার্লস স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীরা মঙ্গলবার থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন। চার দফা দাবিতে এ আন্দোলন করছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা জানান। মঙ্গলবার সকালে কলেজ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তাদের দাবিনানা ও আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষণা করেন। দাবিনামা হলো, ইনক্রিমেন্ট, বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, শিক্ষক সংকট, স্কুল পরিচালনা কমিটি গঠন না করা এবং অন্যান্য আর্থিক সুবিধা না পাওয়া ও প্রশাসনিক জটিলতার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক এস এম উজ্জল। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আরেক শিক্ষক আল আমিন। সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পাঁচ বছরের মধ্যেই শিক্ষা, সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় আধুনিক ও সফল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ২০২৪ সালে প্রথমবার এবং ২০২৫ সালে দ্বিতীয়বার এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাশসহ ৪৭ শতাংশ শিক্ষার্থী অ+ ও ৪৭ শতাংশ শিক্ষার্থী অ গ্রেড অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছে।তবে এত সাফল্য সত্ত্বেও শিক্ষক-কর্মচারীরা গত পাঁচ বছরে কোনো ইনক্রিমেন্ট, বাড়ি ভাড়া বা চিকিৎসা ভাতা পাননি। তীব্র শিক্ষক সংকটের মধ্যেও তারা নিষ্ঠার সঙ্গে পাঠদান ও সহশিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।এছাড়া, গত মে মাসে প্রকাশিত পাঁচজন খ-কালীন শিক্ষক ও একজন অধ্যক্ষের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এখনো কার্যকর হয়নি। তদুপরি, ৩ জুন’’২৫ শিক্ষক ও অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনের পরও পূর্ণাঙ্গ ম্যানেজিং কমিটি গঠন না হওয়ায় প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, একাধিক বৈঠকে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ শরীফ আসিফ রহমান মৌখিক আশ্বাস দিলেও বাস্তব কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ঘোষিত কর্মসূচি মধ্যে রয়েছে, মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে কর্মবিরতি। ২২ অক্টোবরের মধ্যে ম্যানেজিং কমিটি গঠন, জিবি মিটিংয়ের তারিখ ঘোষণা এবং পে-স্কেল অনুযায়ী বেতন-ভাতার বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ না নিলে ২৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি, বক্তব্য প্রদান ও অনশন শুরু করবেন। শিক্ষক-কর্মচারীরা বলেন, “এ অবস্থায় নীরব থাকা মানে প্রতিষ্ঠানের অর্জিত সাফল্য ধ্বংস করা।” তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, তাদের যৌক্তিক দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন হলে খালিশপুর কলেজিয়েট গার্লস স্কুল নারী শিক্ষার প্রসারে আরও অগ্রসর হবে। সিটি কর্পোরেশনের সচিব ও বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ শরীফ আসিফ রহমান বলেন, বিষয়গুলো সমাধানের জন্য আলোচনা চলছে। যেহেতু প্রশাসক নেই তাই তাদের দাবি বাস্তবায়ন আপাতত করা কঠিন বলে তিনি জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক ইসরাত জাহান, মুকুন্দ কুমার মন্ডল, সুরাইয়া আক্তার যুথি, মধুসুদন গাইন, আল আমিন হাজরা, কামিল হাসান, মোশারফ হোসেন, রাদিতা হাসান, মিঠুন, সাইফুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, শাহিনুর খাতুন, আনোয়ারা প্রমূখ।