দৌলতপুরে রঙের কাজের শ্রমিকের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার : দৌলতপুরে সরকারি মুহাসিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছয়তলা ভবনের রঙের কাজের শ্রমিক সোহেল (৩০) বিদ্যুৎ স্পর্শে মারা গেছে । সোহেল রং এর কাজের ঠিকাদার মোঃ শান্ত’র সাথে কাজ করতো। সোহেল বয়রা এলাকায় বসবাস করতেন। প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ১১টায় সরকারি দৌলতপুর মুহাসিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের যশোর খুলনা মহাসড়কের পাশে ছয় তলা ভবনের পূর্ব পাশে রংয়ের কাজ করতে ছিলেন রশি দিয়ে তৈরিকৃত বারায়।একই রশির ভাড়ায় দুজন কাজ করতে ছিল একজন একটু নাড়াচাড়া দিলেই পিছনে থাকা দেড় ফুট দূরে বিদ্যুতের ১১ হাজার ভোল্টেজের তারে পা লেগে পা বিস্ফোরিত হয়ে নিচে পড়ে যায়। এলাকাবাসীর তাৎক্ষণিক তাকে ধরাধরি করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। তবে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার অবস্থা আশঙ্কা জনক অবস্থা থাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক ঢাকার বার্ন হাসপাতালে রেফার করা হয়। ঢাকায় যাৗয়ার সময় মারা যায়।এ বিষয়ে সরকারি মুহাসিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম জোয়ারদার জানান, তিনি ২০১৫ সালে বিদ্যালয় ভবনটি নির্মাণ করার পূর্বে বিদ্যুৎ বিভাগ খুলনা কে আবেদন করে বিদ্যুতের তার সরিয়ে দিয়েছিলেন। তখন বিদ্যৎ তার ভবন থেকে বেশ দূরত্বেই ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে ভবন নির্মাণের পরে বিদ্যুৎ প্রতিষ্ঠান ওজোপাডিকো অপর একটি ১১ হাজার ভোল্টেজ এর তার বিল্ডিং এর দেড় ফুট কোল ঘেঁষেই টেনে নিয়েছেন। তাই এই শ্রমিকরা রংয়ের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎ স্পর্শ হয়ে আশঙ্কা জনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ ওজোপাডিকো -২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, বিদ্যুৎ স্পর্শ হয়ে যদি কেউ মারা যান সেটার জন্য আমরা দায়ী নই। তাদের অসাবধানতার কারণেই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। আমাদের যদি আগে জানানো হতো তাহলে আমরা ওই বিদ্যুৎ লাইনটি তাদের কাজের জন্য বন্ধ রাখতাম।