খুলনায় ১৭ বছর আগে জোড়া খুন : ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার : দীর্ঘ প্রায় দেড়যুগ আগে নগরীর দৌলতপুর পাবলার পারভেজ হাওলাদার ও সুপর্না সাহা হত্যা মামলার রায়ে সাতজনের ফাঁসির দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে অতিরিক্ত মহানগর আদালত-১ এর বিচারক সুমি আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুই জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মৃত্যুদ-প্রাপ্তরা হলেন- ইমামুল কবীর জীবন (পলাতক), রাজ, শহীদ শাহারিয়ার মিথুন, তুষার গাজী, সোয়েব সুমন (পলাতক), শাকিল (পলাতক) এবং তুহিন। খালাস পেয়েছেন কুটি এবং শামীম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফারহানা হক বলেন, তদন্ত শেষে পুলিশ নয়জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ সাতজনকে মৃত্যুদ-ের পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয় বলে জানান তিনি।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ সালের ৩ জানুয়ারি রাতে দেয়ানা সবুজ সংঘ মাঠের কাছে সাহাপাড়ায় সন্ত্রাসীরা গুলি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নিজাম উদ্দিনের পুত্র পারভেজ হাওলাদারকে হত্যা করে। তাকে কুপিয়ে জখম করার সময় সাহাপাড়া থেকে সুপর্না সাহা, তার বাবা দিলিপ সাহা ও তার স্ত্রী রেখা সাহা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্যে করে গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক সুপর্না সাহাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পারভেজের বাবা নিজাম উদ্দিন বাদি হয়ে ৪ জানুয়ারি ৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, তৎকালীন পুলিশের বড় কর্তা শহিদুল ইসলাম রবির ছেলে মিথুন পারভেজকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। ওই মিথুনসহ ৭-৮ জনে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফারহানা হক বলেন, এ মামলায় ৯ জন আসামি ছিল। যার মধ্যে ৭ জনের মৃত্যুদ- দেওয়া হয়েছে। বাকি ২ জনকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।



