কেসিসি এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত করায় নির্বাচন ৩ কর্মকর্তাকে শোকজ

স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা সিটি কর্পোরেশন এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের নির্বাচন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থগিত করা হয়েছে তা কেন অবৈধ ঘোষণা কার হবে না মর্মে নির্বাচন কমিশনারকে কারণ দর্শনোর নোটিশ দিয়েছে আদালত্ আগামী ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ নিয়ে বন্ধ হওয়ায় এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের নির্বাচনের পথ খুললো বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। গত ২৯ অক্টোবর শ্রম আদালত প্রধান নির্বাচন কমিশনসার উজ্জল কুমার সাহা ও নির্বাচন কমিশনার খান হাবিবুর রহমান ও নাজমুল হক মুকুলকে এ শোকজ করেন। খুলনা সিটি কর্পোরেশন এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের সাঃ সম্পাদক প্রার্থী আশরাফুল ইসনলাম বাদী হয়ে গত ২৭ অক্টোবর বিভাগীয় শ্রম আদালতে মামলা দায়ের করেন, ওই মামলার শুনানী শেষে গত ২৯ অক্টোবর এ আদেশ দেন আদালত।
মামলা উল্লেখ করা হয়, “দরখাস্তকারী খুলনা সিটি কর্পোরেশনের গাড়ী চালক বা ড্রাইভার পদের শ্রমিক। ২০০৪ সালে নিয়োগ প্রাপ্তির পর হতে দরখাস্তকারী সততা ও নিষ্ঠার সহিত নিজ দায়িত্ব পালন করে আসছেন। চাকুরীর সুবাদে দরখাস্তকারী কেসিসি এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন রেজিঃ ১৮ এর একজন চাঁদা দাতা সদস্য এবং শ্রমিক নেতা হচ্ছেন। দরখাস্তকারী ২০১৩ সালে সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করে অল্প সংখ্যক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। ২০১৭ সালে ইউনিয়নের সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ইহার পরে নানাবিধ কারণে অকারণে নির্বাচন না হওয়ায় ইউনিয়নে আর গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। সদস্যরা যে যার মতে আচরণ করায় নিয়মতান্ত্রিক ট্রেড ইউনিয়ন কর্মকান্ড ভেঙ্গে পড়েছে। উপরোক্ত অবস্থা হতে ইউনিয়নকে মুক্তি করে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ১৬ আগস্ট’২৫ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ৪৪১ জন ভোটার সদস্যদের মধ্যে ৩০৫ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচন-২০২৫ অনুষ্ঠান কল্পে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠিত হয়। অতঃপর মিটিং এর সিদ্ধান্তের আলোকে ৩ সদস্য নির্বাচনী দায়িত্বভার গ্রহণ করে২৩ আগস্ট’২৫ নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল মোতাবেক দরখাস্তকারী সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন পত্র ক্রয় করে যথানিয়মে জমা দেন। অনুরূপ অন্যান্য প্রার্থীরাও সাধারণ সম্পাদক পদ সহ বিভিন্ন পদে মনোনয়ন জমা দেন। মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই হয়। মার্কা বা প্রতীক বরাদ্দ হয়। দরখাস্তকারী হরিণ মার্কা প্রতীক প্রাপ্ত হয়ে পুরাদমে নির্বাচনী প্রচার কার্য্য চালাতে থাকেন। তফসিল মোতাবেক ১৩সেপ্টেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য দিন ধার্য্য ছিল। প্রার্থী ও ভোটারেরা নির্বাচনের জন্য জনসংযোগ, মিটিং মিছিল করতে থাকেন। ব্যয়বহুল প্রচারণা, ব্যানার ফেষ্টুন ইত্যাদিতে রমরমা হয়ে উঠে কেসিসি ওয়ার্ডগুলি। নর্বাচন অনুষ্ঠিত করণের এহেন অনুকুল পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ অর্থাৎ ১-৩ নং বিাবদী ইং ১০সেপ্টেম্ববর’২৫ নির্বাচনের ৩ দিনি আগে ‘বিশেষ বিজ্ঞপ্তি’ শিরোনামে এক পত্র নোটিশ ইস্যু করে অনির্দিষ্টকালের জন্য নির্বাচন স্থগিত করে দেন। বিষয়টি লয়ে ঐ রাতেই অর্থাৎ ইং ১০সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে ভোটাররা প্রতিবাদ সভা ও মিছিল করেন। কিন্তু এতেত কোন ফলনি। ১-৩ নং বিবাদী এহেন আচরণ বেআইনী এবং দুঃখজনক বটে। ইতিমধ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ৪১ জন প্রার্থী মধ্যে ২৭ জন প্রার্থী কেসিসি ও শ্রম পরিচালক (৪নং বিবাদী) বরাবরে লিখিত আবেদন কেের নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করার জন্য নিবেদন করেন কিন্তু তাতে কোন পক্ষেই কোন গুরুত্ব না দেওয়ায় নির্বাচনে আগ্রহী প্রার্থীগন এবং ভোটারদের সম্মতিক্রমে বাদী অত্র মোকদ্দমা রুজু করেন। তিনি মামলায় আরো উল্লেখ করেন,সহসাই নির্বাচন হওয়া জরুরী হওয়য়া । বিবাদমান পক্ষগনের মধ্যে সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি, মারামারি, ঝগড়া বিবাদ লেগে আছে। সকলের আকাংখা দ্রুত নির্বাচন হউক এবং সাধারণ সদস্যদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচিত হউক। কিন্তু ১-৩ নং বিবাদী তা হতে দিতে চাহে না। কি তাদের অভিপ্রায় তা বাদী জানতে পারেন না। এহেন অচল অবস্থা নিরসনকল্পে এবং বাদীর গ্রান্টেড রাইট লংঘিত হওয়ায় শ্রম আইনের ২১৩ ধারা এবং আদেশাত্মক নিষেধাজ্ঞার প্রার্থনায় বাদী অত্র মোকদ্দমা রুজু করলেন। নালিশের কারণ ১-৩ নং বিবাদীগন অন্যায়ভাবে ১০ অক্টোবর নালিশী নোটিশ ছাড়া নির্বাচন অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করার পর বাদী সহ ২৭ জন প্রার্থী ইং ০৯ নভেম্বর বিবাদীগনকে নির্বাচনের জন্য তারিখ ঘোষণার জন্য আবেদন ও অনুরোধ করলে বিবাদীগন তাাতে অস্বীকার করায় উক্ত ইং ০৯ নভেম্বরখ হতে অত্র মামলার কারন উদ্ভব হয়েছে। বর্ণিত অবস্থায় ১-৩ নং বিবাদীর প্রতি জরুরী ভিত্তিতে আদেশ আবশ্যক যেন তারা অতিদ্রুত নির্বাচনের দিন ধার্য্য করে ইউনিয়নের নির্বাচন সম্পন্ন করেন। সুবিধা-অসুবিধার ভারসাম্য বাদী পক্ষের অনুকূলে এবং বিবাদীগনের প্রতিকূলে হচ্ছে। বাদীর মামলার প্রাইমাফেসী আছে।
মামলার বাদী আশরাফুল ইসলাম জানান, কোন ধরনের আলোচনা ছাড়াই নির্বাচন যখন পুরোদমে জমে উঠেছে ঠিক তখনই কমিশন নির্বাচন বন্ধ করে দেয়। কোন ধরণের সংঘাত মারামারি ছাড়াই কমিশন অনির্দিষ্ট কালের জন্য নির্বাচন বন্ধ করায় ভোটারদের দাবির মুখে মামলা করতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান। কারণ ভেটাররা নির্বাচন মুখী হয়ে ওঠে। ঠিক তখনই নির্বাচন বন্ধ হয়।



