দাঁড়িপাল্লা বিজয়ী হলে বেকার সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে ঃ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ

# পাইকগাছা পৌরসভা এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগ #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সম্প্রীতি বজায় রেখে উন্নয়নমূলক কাজ করবে। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতা ৫ আগস্ট বুকের তাজা রক্ত দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। ভবিষ্যতেও তারা ফ্যাসিবাদ রুখে দাঁড়াবে। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে সৎ এবং যোগ্য নেতৃত্বের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, দাঁড়িপাল্লা বিজয়ী হলে বেকার সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে। দুর্নীতি ও হয়রানি রোধে গঠন করা হবে জবাবদিহিমূলক প্রশাসন। বেকার যুবসমাজের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিল্প-কারখানা ও অর্থনৈতিক জোন প্রতিষ্ঠা করা হবে। তিনি আরও বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নদীভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে, কৃষি খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা হবে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দিনব্যাপী খুলনা-৬ আসনের পাইকগাছা পৌরসভা এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগকালে তিনি এ সব কথা বলেন।
এ সময় খুলনা জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা গোলাম সরোয়ার, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য এস এম আমিনুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের খুলনা জেলা দক্ষিণের সভাপতি আবু জার গিফারী, পাইকগাছা উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা বুলবুল ইসলাম, সেক্রেটারি মো. আলতাফ হোসেন, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল খালেক, পাইকগাছা উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা আহম্মাদুল্লাহ, পাইকগাছা পৌরসভা জামায়াতের আমীর ডা. আসাদুল হক, সেক্রেটারি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ শফিয়ার রহমান, উপজেলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড যুব বিভাগের সভাপতি নাজমুজ সাকিব, ৫ নং ওয়ার্ড সভাপতি সোহেল আহম্মেদ, সেক্রেটারি মুজাহিদুল ইসলাম, পৌর উলামা বিভাগের সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল কাদির, ৯ নং ওয়ার্ড শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি মাহবুবুর রহমান মন্টু প্রমুখ।
খুলনা-৬ আসনের এই এমপি প্রার্থী আরও বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে কুরআন ও হাদীসের আলোকে অমুসলিমদের অধিকার নিশ্চিত করা হবে। গণসংযোগ ও নির্বাচনী সুধী সমাবেশে বিপুল সংখ্যক স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণের উপস্থিতি ছিল। বক্তারা সবাই সুশাসন, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ও উন্নয়নমুখী রাজনীতির প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।



