চ্যালেঞ্জে বেতার সম্প্রচার : করণীয় নির্ধারণে সেমিনার

স্টাফ রিপোর্টার ঃ ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যাণে বিশ^জুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্রুত পরিবর্তন ঘটছে। সোশ্যাল মিডিয়ার তুলনাহীন গতি বেতার সম্প্রচারকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। আধুনিক প্রযুক্তি ও শ্রোতার মনস্তত্ব বুঝে সৃজনশীলতা, সম্মানজনক যোগাযোগ এবং অংশগ্রহণমূলক অনুষ্ঠানই পারে রেডিওকে আবার জীবন্ত করে তুলতে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) খুলনায় অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে আলোচকরা এসব কথা বলেন। ‘সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে বেতারের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ বেতার খুলনা। বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক মো: শামীম হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা বিশ^বিদ্যালয়রে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. হারুন অর রশিদ খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন আঞ্চলিক প্রকৌশলী তাজুন নিহার আক্তার, আঞ্চলিক বার্তা নিয়ন্ত্রক মো: নুুরুল ইসলাম ও বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ অধ্যাপক আব্দুল মান্নান। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিক এহতেশামুল হক শাওন, সাংবাদিক এইচ এম আলাউদ্দিন, উপ আঞ্চলিক পরিচালক মো: মামুন আক্তার, উপ আঞ্চলিক প্রকৌশলী মো: মুতাকাব্বির করিম খান, সহকারি পরিচালক (অনুষ্ঠান) তনুজা মন্ডল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপ আঞ্চলিক পরিচালক মো: শাহিদুল ইসলাম। আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, রেডিও’র গ্রহণযোগ্যতা ও সার্বজনীনতা শেষ হয়নি বা ফুরিয়ে যায়নি। মহান মুক্তিযুদ্ধে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা জাতিকে জাগ্রত করেছিল। রাজনৈতিক এবং প্রাকৃতিক দূর্যোগ সংকটে রেডিও এখনও মানুষের ভরসাস্থল। চারটি লক্ষ্য নিয়ে বেতার কাজ করে জানিয়ে বক্তারা বলেন- তথ্য, শিক্ষা, বিনোদন এবং উন্নয়ন। শ্রোতাকে শুধুমাত্র বার্তা দেওয়া নয়, জাতি ও ব্যক্তির পরিবর্তন ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে রেডিও। তবে ডিজিটাল প্লাটফর্ম যেমন ফেসবুক, ইউটিউব, পডকাস্টে আইডি চালু করা, নতুন নতুন সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী কনটেন্ট তৈরি, লাইফ টেলিকাস্টের মাধ্যমে শ্রোতাদের সাথে ইন্টারঅ্যাকশন বাড়ানো এবং শিল্পী কুশলীদের সম্মানি বাড়িয়ে রেডিওকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।করণীয় নির্ধারণে সেমিনার



