ঝিনাইদহে কিশোরীকে গণধর্ষণ : গ্রেপ্তার ৩

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার কাঁচেরকোল ইউনিয়নের উত্তর কচুয়া গ্রামের এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় কিশোরীর মা জোসনা খাতুন বাদী হয়ে থানায় ৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- উত্তর কচুয়া গ্রামের রইচ বিশ্বাস, কামাল বিশ্বাসের ছেলে মাসুদ বিশ্বাস ও রশিদ ম-লের ছেলে হাবিবুর রহমান। এছাড়া খন্দকবাড়িয়া গ্রামের মৃত কালু হাজীর ছেলে এনামুলকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অপরদিকে গত শুক্রবার এনামুলের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করে ধর্ষিতা কিশোরী।
ধর্ষণের শিকার কিশোরী জানায়, এনামুলের সাথে ৬ মাস ধরে তার প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। গত বৃহস্পতিবার রাতে এনামুল তাকে ফোন করে বাড়ির বাইরে আসতে বলে। সে বাড়ির বাইরে আসলে প্রথমে এনামুল তাকে টেনে হিঁচড়ে বাড়ির পাশে ধান ক্ষেতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে করে। এসময় রইচ বিশ্বাস ভিডিও ধারণ করে এবং মাসুদ বিশ্বাস ও হাবিবুর রহমানকে ফোনের মাধ্যমে ডেকে নিয়ে আসে। পরে রইচ এর সহযোগিতায় তারাও কিশোরীকে গণধর্ষণ করে। গণধর্ষণের ঘটনা কাউকে না বলতে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
এলাকাবাসী জানায়, ধর্ষণ ঘটনার পরের দিন এনামুলের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করে ওই কিশোরী। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে সালিশ মীমাংসা করার চেষ্টা করে উত্তর কচুয়া গ্রামের শরিফুল মেম্বার ও খন্দকবাড়ীয়া গ্রামের বেশ কয়েকজন মাতব্বর। এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় সংবাদ প্রচার হলে বিষয়টি নজরে আসে প্রশাসনের, শুরু হয় তদন্ত। তদন্তের এক পর্যায়ে বেরিয়ে আসে গণধর্ষণের চাঞ্চল্যকর তথ্য।
শৈলকূপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুম খান জানান, ধর্ষিতা কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ইতোমধ্যে পুলিশ ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। এনামুলকে গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।



