দিঘলিয়ার বিভিন্ন গ্রামের পাড়া মহল্লায় অবাধে চলছে নেশাদ্রব্যের রমরম ব্যবসা পিছিয়ে নেই জুয়া খেলায়

দিঘলিয়া প্রতিনিধি ঃ দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে পাড়া মহল্লায় অবাধে চলছে লাখ লাখ টাকার মাদকের ব্যবসা। পিছিয়ে নেই জুয়ার আখড়া।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, দিঘলিয়ায় পৃষ্ঠপোষকতায় হাত বদল হয়েছে মাত্র। গ্রামে গ্রামে নেশা দ্রব্য আমদানি ও কেনাবেচায় পিছিয়ে নেই মাদক কারবারিরা। আমদানি ও নিরাপদে বহন এবং গোন্তব্যে পৌঁছে দিতে মহিলারা জড়িয়ে পড়ছে। খুচরা কেনাবেচায় জড়িয়ে পড়ছে জনপদের স্কুল পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীসহ উঠতি বয়সী যুবকেরা। দিঘলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফরমাইশখানা, গোয়ালপাড়া, ব্রহ্মগাতী, পানিগাতী, দেয়াড়া কহিনুর স্কুল মাঠ এলাকা, দেয়াড়া খেয়াঘাট, দেয়াড়া কলোনী, দেয়াড়া মোল্যার মোড়, দেয়াড়া কবরখানার পূর্ব পাড়া, দিঘলিয়া ৩ নং ওয়ার্ড ও ১নং ওয়ার্ড, নগরঘাট, সেনহাটি ইউনিয়নের সেনহাটি কলেজপাড়া, বিদ্যাবাগীশপাড়া, সরিষাপাড়া, মিয়াপাড়া, কাটানিপাড়া, বোগদিয়া, মধ্যচন্দনীমহল, দক্ষিণ চন্দনীমহল, ভৈরব নদী ও আতাই নদী পাড়, হাজীগ্রাম, বাতিভিটা, মোমিনপুর, বারাকপুর ইউনিয়নের লাখোহাটি, বারাকপুর, ঘোষগাতী, কামারগাতী, নন্দনপ্রতাপ, আড়ুয়া, গাজীরহাট ইউনিয়নের কোলা, মাঝিরগাতী, আবালগাতী, ডোমরা, মহিষদিয়া, আমবাড়িয়া, মোল্লাডাঙ্গা, কেটলা, গাজীরহাটসহ প্রত্যন্ত এলাকায় অবাধে লাখ লাখ টাকার নানা ধরণের নেশা দ্রব্য আমদানি ও কেনাবেচা হচ্ছে। এর মধ্যে, গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবা ট্যাবলেট, এ্যালকোসহ নানা ধরনের দেশীমদ উল্লেখযোগ্য। এ সকল নেশার জগতে পুরুষের পাশাপাশি মহিলারাও পিছিয়ে থাকছেনা। তারা নানা ধরণের নেশা দ্রব্য আমদানি ও নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কাজে জড়িয়ে পড়ছে। কেউ কেউ মাদক ব্যবসায়ে যানবাহন হিসেবে সাইকেল ব্যবহার করছে বলে জানা গেছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব কালী পূজা উদযাপন কালীন গাজীরহাট এলাকায় নেশাপানে ৮ জন আহত হয়। যাদের ৩ জনই মারা যায়।
এদিকে মাদকের আধিক্যের পাশাপাশি দিঘলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় জুয়ার আখড়া বসানো হয়েছে। এর পিছনে রয়েছে এলাকাভিত্তিক একটা প্রভাবশালী মহল। চন্দনীমহল বাগানবাড়ি এলাকা, মল্লিকপাড়া, চন্দনীমহল কাটাবন এলাকা, বোগদিয়া এলাকা, স্টার ২ নং গেট এলাকায়, হাজীগ্রাম ঘের এলাকা, দেয়াড়া ৪ নং ওয়ার্ড এলাকা, গাজীরহাট এলাকাসহ বিভিন্ন গ্রামে অবাধে জুয়া খেলা চালিয়ে আসছে একটা মহল। নানা নেশাদ্রব্য কেনাবেচা ও প্রকাশ্যে জুয়া খেলার কারণে চুরি, ছিনতাইসহ নানা সামাজিক অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে অহরহ। রাতের বেলা ঘরের চালে ঢিল ছুড়ছে এলাকার একটা কিশোর গ্যাং। অবাধে নেশাদ্রব্য আমদানি ও জুয়া খেলা পরিচালিত হলেও পুলিশ অজ্ঞাত কারণে নিরব দর্শকের ভূমিকায় এমনটাই জানিয়েছে এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ এইচ এম শাহীন এ প্রতিবেদককে জানান, সুনির্দিষ্টভাবে নেশাদ্রব্য অবস্থায় কাউকে ধরা সম্ভব হচ্ছেনা। জুয়ার সুনির্দিষ্ট স্পট কেউ না জানালে পুলিশতো জানতে পারবেনা। নেশাদ্রব্য আমদানি ও কেনাবেচা এবং জুয়াড়ুদের গ্রেফতারে এলাকার মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে। কারণ এ সকল অপরাধে জড়িতরা সমাজেরই লোক। কারো ভাই, কারো সন্তান।


