খুলনায় মৎস্য ব্যবসায়ী রিপনকে জোড়া হত্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

মুক্তির দাবিতে স্ত্রী’র সংবাদ সম্মেলন
স্টাফ রিপোর্টার : নিরীহ মৎস্য ব্যবসায়ী রিপন শেখকে জোড়া খুনের মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে খুলনা থানা পুলিশ। ঘটনার সময় রিপন ফকিরহাটের ফলতিতা বাজারে মাছ কেনার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। সে কোনরূপ সন্ত্রাসী কর্মকা-ে জড়িত নয়। বুধবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমনটি দাবী করেন রিপনের স্ত্রী আঁখি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, ১ ডিসেম্বর রাতে নগরীর নতুন বাজার চরের নিজ বাসা থেকে সদর থানা পুলিশ রিপনকে আটক করে। পরবর্তীতে পুলিশ গণমাধ্যমকে জানায়, ৩০ নভেম্বর খুলনার আদালত চত্বরে জোড়া খুনের ঘটনায় রিপন অংশ নিয়েছিল। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, রিপন ওই সময় ফকিরহাটের ফলতিতা বটতলা বাজারে ছিল। সে আদি বাগেরহাট মৎস্য আড়তে মাছ কেনার কাজে ব্যস্ত ছিল। যার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আমরা সংগ্রহ করেছি। তিনি রিপনের মোবাইল লোকেশান যাচাই বাছাই এরও দাবি জানান। তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর একজন নিরীহ মৎস্য ব্যবসায়ীকে পুলিশ কর্তৃক এভাবে হত্যা মামলায় ফাসানোর চেষ্টা অত্যন্ত দূঃখজনক। তিনি অবিলম্বে রিপন শেখের মুক্তি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ওই দিন (৩০ নভেম্বর) নিহত হাসিবের ভাই সুমন হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন। তিনি দাবি করেন রিপন শেখ তাদের পারিবারিকভাবে ঘনিষ্ট। সে সন্ত্রাসী কর্মকা-ে জড়িত নয়। তার ভাই এর হত্যা মামলাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য পুলিশ নিরীহ রিপন শেখকে আটক করে কল্পকাহিনী সাজাচ্ছে। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। সুমন হাওলাদারও রিপনের মুক্তির দাবী জানান।
উল্লেখ্য, গত ৩০ নভেম্বর খুলনার আদালত চত্বরে সন্ত্রাসীরা গুলি করে ও কুপিয়ে খুন করে হাসির হাওলাদার ও ফজলে রাব্বি রাজন নামক দু যুবককে।
