স্থানীয় সংবাদ

নির্বাচনী এলাকায় প্রবেশ করে সকলকে নিয়েই দাকোপ-বটিয়াঘাটা বিনির্মাণের ঘোষণা ‘ধানেরশীষ’ প্রতীকের প্রার্থী আমীর এজাজ খানের

দল-মত ও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের কাছে খালেদা জিয়ার সুস্থতায় দোয়া চাইলেন

খবর বিজ্ঞপ্তি ঃ খুলনা-১ আসনে বিএনপি মনোনীত ‘ধানেরশীষ’ প্রতীকের প্রার্থী আমীর এজাজ খান বলেছেন, সকলকে সাথে নিয়েই দাকোপ-বটিয়াঘাটা বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো। ধানের শীষ প্রতীকের প্রশ্নে কোনো দলাদলি-ভেদাভেদ নেই। আমরা সকলেই ‘ধানেরশীষ’ প্রতীকের কর্মী; আমাদের নেতা তারেক রহমান। তাই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে ধানেরশীষ প্রতীকে ভোট দিন। ধানেরশীষ প্রতীক হিন্দু-মুসলিম, বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান, উপজাতি-স্বজাতি সবার। সকল সম্প্রদায়ের মিলিত শক্তি দেশ গড়ার হাতিয়ার। গতকাল শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকালে ঢাকা থেকে নির্বাচনীয় এলাকায় প্রবেশ করলে বটিয়াঘাটার সাচিবুনিয়া মোড়ে সংক্ষিপ্ত পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি। প্রার্থী ঘোষণার পর প্রথম এ পথসভায় অশ্র“সিক্তকণ্ঠে দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের কাছে তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা কামনায় দোয়া চান তিনি। এসময়ে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী-সমার্থকদের মধ্যে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।
বিকালে ঢাকা থেকে খুলনায় প্রবেশকালে রূপসা উপজেলার কুদিরবটতলা এলাকায় বিশাল মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী-সমার্থক তাকে নিয়ে শো’ডাউন দিতে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। ‘মাদার অফ ডেমোক্রেসি’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারিরিক অবস্থার এ সংকটকালে সবধরণের শো’ডাউন পরিহার করে তাঁর জন্য দোয়া-প্রার্থনার আহবান জানান আমীর এজাজ খান। এসময়ে তিনি নেতাকর্মী-সমার্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বাংলাদেশ ভালো নেই। বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ, তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে! তাই বাংলাদেশও চরম অনিশ্চিয়তার মুখে। এ অবস্থায় কোনো আনন্দ-উল¬াস নয়; খুলনা-১ আসনটিতে ধানেরশীষ প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করে তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে- এটাই আমাদের এখন মূল লক্ষ্য। খুলনা-১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী সকলকে সাথে নিয়েই নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করবো। মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় খুলনা-১ আসনেও ধানেরশীষ প্রতীক বিজয়লাভ করলে সকলকে নিয়েই ঐক্যবদ্ধভাবে দাকোপ-বটিয়াঘাটার অবহেলিত জনপদটি বিনির্মাণে কাজ করবো। আমার রাজনৈতিক জীবনের প্রায় চার দশক আমি দাকোপ-বটিয়াঘাটাবাসীর পাশে ছিলাম, মৃত্যু পর্যন্ত তাদের নিয়েই থাকবো ইনশাআল¬াহ। দাকোপ-বটিয়াঘাটার মাটির সন্তান; আমার কাছে হিন্দু-মুসলিম, বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান কোনো জাত-পাত ভেদাভেদ নেই। বরং সনাতনী ভাই-বোনরাই আমাকে সব সময়েই পাশে ছিলেন; আমিও তাদের সাথে আছি। এসময়ে নেতাকর্মীরাও অশ্র“সিক্ত হয়ে পড়েন। নেতার আবেগঘন বক্তৃতাকালে নারীদের আনন্দাশ্রু মুচতে দেখা যায়। এসময়ে উলুধ্বনী দেন হিন্দু নারীরা।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button