স্থানীয় সংবাদ

সচেতনতার অভাব আবাসিক হোটেলে অনৈতিক সম্পর্ক থেকে বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি

স্টাফ রিপোর্টার : খুলনা নগরী ও আশপাশের এলাকায় দ্রুত গড়ে উঠছে আবাসিক হোটেল। এর অনেকগুলোর আড়ালে চলছে অনৈতিক সম্পর্ক, গোপন লেনদেন ও অবৈধ কর্মকা-। তবে, নেই কোন সচেতনতা ।আর এতে করছে বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। পাশাপাশি যৌনবাহিত রোগ, মাদকাসক্তি ও সামাজিক অবক্ষয়ের ঝুঁকি। পাশাপাশি এইচ আইভি সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এআর-টি সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় এইচআইভি-এর সংক্রমণ গেল দুই বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে গেল ২০২৪ সালে এইচআইভি আক্রান্ত: ৮৫ জন ২০২৫ সালে আক্রান্ত: ১০০ জন ২০২৪ সালে মৃত্যূ ২২ জন,চলতি বছরে ২০২৫ সালে মৃত্যু ২৩ জন, এ দিকে বিষয়টি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনিরাপদ শারীরিক সম্পর্ক, সচেতনতার অভাব এবং গোপন মেলামেশা এই বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।এছাড়া ঝুঁকিতে উৃঠতি বয়সি শিক্ষার্থীও যুবসমাজ রয়েছে। এআর-টি সেন্টারের হিসেবে, এইচ-আইভি ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে ছাত্র-ছাত্রী ও তরুণরা।অল্প বয়সে উচ্ছৃঙ্খলতা, অনলাইন অ্যাপসের মাধ্যমে পরিচয়, এবং আবাসিক হোটেলে গোপন সম্পর্কে জড়ানো-এসব কারণে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এ দিকে হোটেল মালিক ও দালাল চক্র ধরাছোঁয়ার বাইরে।মাঝের মধ্যে প্রশাসন এসব আবাসিক হোটেলে অভিযান পরিচালনা করলেও আবাসিক হোটেলে অনৈতিক কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করা যাচ্ছে না।অভিযানে মাঝে মাঝে যৌনকর্মী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আটক করা হলেও হোটেল মালিক ও দালাল চক্রের সদস্যরা বেশিরভাগ সময়ই রয়ে যায় ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।এ দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রাতে বিভিন্ন ধরণের লোকজনের আনাগোনা বাড়ায় এলাকাজুড়ে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হচ্ছে একজন বাসিন্দা জানান-রাতে নানা রকম লোকজন আসে। আমরাই আতঙ্কে থাকিৃ এলাকা নিরাপদ কিনা ভেবে চিন্তায় থাকতে হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকর ডাঃ মোঃ ইউনুস আলী কনসালটেন্ট খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসকদের মতে, অনিরাপদ সম্পর্কে এইচ-আইভি, সিফিলিস, গনোরিয়া ও হেপাটাইটিসের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়ে।অনেকেই সংক্রমিত হওয়ার পরও বিষয়টি বুঝতে পারেন না, ফলে অজান্তেই অন্যের শরীরে রোগ ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে ডাক্তার মোহাম্মদ ইউনুস আলী বলেন, সুরক্ষা ছাড়া শারীরিক সম্পর্কে গেলে এসব রোগ দ্রুত ছড়ায়। এর প্রভাব শারীরিক, মানসিক ও পারিবারিকভাবে ভয়াবহ।সমাজের উপর নেতিবাচক প্রভাব অনৈতিক সম্পর্কের পেছনে জড়িয়ে পড়ছে অনেক তরুণ।মাদক, ব্ল্যাকমেইল, দালাল চক্র ও অপরাধী গোষ্ঠীর মাধ্যমে তারা ধীরে ধীরে অপরাধচক্রের অংশ হয়ে যাচ্ছে।এর ফলে এলাকায় বাড়ছে সামাজিক অস্থিতিশীলতা ও অপরাধ প্রবণতা।এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রাশেদুল ইসলাম খান জানান“আমরা নিয়মিত অভিযান করছি। অনৈতিক কর্মকা-ে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বিষয়টি নিযে সচেতন নাগরিক কমিটির নেতা অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার বলেন, শুধু প্রশাসনিক উদ্যোগ যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সমাজের যৌথ সচেতনতা নিরাপদ আচরণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই ঐওঠসহ সব যৌনবাহিত রোগ থেকে বাঁচার প্রধান উপায়।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button