বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দূর্ণীতিপরায়ন সাইদুজ্জামানের বদলীর আদেশ স্থগিতের দাবি কর্মকর্তাদের

স্টাফ রিপোর্টার :
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বটিয়াঘাটায় প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক হিসেবে মোঃ সাইদুজ্জামান-এর পুনর্বদলীর আদেশ স্থগিত/প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীরা খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য)-এর বরাবর লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্মারক নং ৪৫.৪০.০০০০.০০১.১৯.০৪২.২৫–২২৫৩ (১৩), তারিখ– ০৪ ডিসেম্বর ২০০৫ মোতাবেক ফুলতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাকে বটিয়াঘাটায় বদলি করা হয়। তবে এ আদেশ স্থগিতের দাবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারিরা অভিযোগ করেন, অতীতে বটিয়াঘাটায় দায়িত্ব পালনকালে সাইদুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্ব্যবহার ও প্রশাসনিক জটিলতার অভিযোগ ওঠে। হাসপাতালের কোন স্টাফ দাপ্তরিক কাজ নিয়ে গেলে প্রতিটি কাজের জন্য তিনি টাকা নিতেন। টাকা ছাড়া কোন কাজ করতেন না। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে বারবার তদন্ত অনুষ্ঠিত হয় এবং তিনি দোষী প্রমাণিত হন বলে আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা: অভিজিৎ মল্লিক বলেন, “সাইদুজ্জামান বটিয়াঘাটায় দায়িত্বে থাকাকালে আউটসোর্সিং কর্মী ও নার্সিং স্টাফদের সঙ্গে একাধিকবার আচরণগত সমস্যা তৈরি হয়েছিল। বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে তাকে বদলি করা হয়েছিল। তার এ বদলীর আদেশ স্থগিত চেয়ে হাসপাতালে সম্মিলিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বাক্ষর করে বিভাগীয় পরিচালকের কাছে আবেদন করেছেন।”
নার্সিং সুপারভাইজার সুনিত্রা বিশ্বাস জানান, “তিনি দায়িত্বে থাকাকালীন দাপ্তরিক কাজে বাধা সৃষ্টি এবং নানা অভিযোগের কারণে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছিল। তিনি পুনরায় যোগদান করলে কর্মপরিবেশ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।” তিনি বলেন, সাইদুজ্জামান বাদে যে কাউকে এখানে বদলী করা হলে আমরা তার সাথে কাজ করতে রাজি।
অন্যদিকে মোঃ সাইদুজ্জামান তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আগের তদন্তে কোনো অভিযোগের সত্যতা মেলেনি। আমাকে হয়রানিমূলকভাবে অভিযুক্ত করা হচ্ছে।”
আবেদনকারী কর্মকর্তা–কর্মচারীরা জানান, সাইদুজ্জামানের পুনর্বদলীর ফলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পূর্বের মতো অস্থিরতা তৈরি হতে পারে এবং সেবা প্রদানের পরিবেশ বিঘিœত হতে পারে। এ কারণে তারা আদেশ স্থগিত বা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছেন।


