স্থানীয় সংবাদ

রূপসাব্রীজের পূর্ব পাড়ে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হলেও স্থানীয় প্রশাসন নিরব

# বিভিন্ন বাহিনী নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালানো প্রতিশ্রুতি ডিসি’র
# আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি স্থানীয় ও ভোগান্তিদের

স্টাফ রিপোর্টার : দক্ষিনাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খুলনার রূপসা খানজাহান আলী (রহঃ) ব্রীজের পূর্ব পাড়ে টোলপ্লাজার সন্নিকটে সড়ক ও জনপদের রাস্তার দু-পাশে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও স্থানীয় প্রশাসন এখনও রয়েছেন নিরব ভূমিকায়। এমন অভিযোগ অনেকেরই। এমনকি তাদের নেই কোন মাথা ব্যথা। এসব অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এবং ব্রীজে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা। সংবাদ প্রকাশিত হলে স্থানীয় প্রশাসন নড়েচড়ে বসলেও কিছুদিন পর আবার নিরব হয়ে যায়। এমনকি বালু ব্যবসায়ী সাগর খুলনার একজন প্রভাবশালী লোকের নাম ভাঙিয়ে বালুর ব্যবসা বুক ফুলিয়ে করে যাচ্ছে। ভুক্তভোগীদের শুধু একটা-ই দাবি সড়কের দু-পাশে রাস্তা আটকিয়ে অবৈধভাবে বালু’র ব্যবসা বন্ধ করতে হলে উর্ধতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ জরুরি। দক্ষিনাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী সেতুতে ঘুরতে আসা হাজারও মানুষের দূর্ভোগ তেমনই ব্রীজ এবং সড়ক ও জনপদের সরকারি রাস্তার হচ্ছে চরম ক্ষতি। সেইসাথে ব্যক্তি স্বার্থে রূপসা নদী থেকে বালু সরবরাহ পাইপ সড়ক বিভাগের রাস্তা কেটে বসিয়ে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে, বালুর কারণে ব্রীজের টোলপ্লাজার লোকদেরও হতে হচ্ছে ভোগান্তির শিকার। প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন টোলপ্লাজা থেকে যাওয়া আসার মুহুর্তে গাড়িতে থাকা যাত্রীদেরও হতে হয় ভোগান্তি। মেইন সড়ক ঘেঁষে দু-পাশে ৩টি স্থানে চলছে বালুর রমরমা ব্যবসা। দীর্ঘ বসর যাবত ধরে সড়কের দু-পাশে বালুর ব্যবসা করছেন খাজুরা এলাকার সাগর শেখ ও রূপসার জাবুসার মেহেদী হাসান ও শামিম নামের স্থানীয় তিন ব্যক্তি দক্ষিনাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী রূপসা সেতু অন্যতম বিনোদনের যায়গাটিতে বিশেষ করে শুক্রবার বিকেলে বিনোদনের জন্য এই ব্রীজে ঘুরতে আসা হাজারও লোকের সমাগম সৃষ্টি হলেও এ বালুর কারনে তাদেরও দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ব্রীজে ঘুরতে আসা শিমুল, তানভীর, সৈয়দ তারিক সহ অনেকে বলেন, বালু ব্যবসায়ীরা খামখেয়ালি ভাবে সরকারি রাস্তা এবং দর্শনার্থীদের ক্ষতি করে ইচ্ছেমতো ব্যবসা করে যাচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী রূপসা সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যায়গা। এটিকে রক্ষা করতে প্রশাসনের দ্রুত উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে প্রতিকারের জোরালো দাবি জানাই। এ বিষয়ে খুলনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) আ. স. ম. জামশেদ খোন্দকার বলেন, বিষয়টি আমি গুরুত্বে সাথে দেখবো। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার বিভিন্ন বাহিনী নিয়ে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button