স্থানীয় সংবাদ

নিখোঁজ নান্টুকে ফিরে পেতে পুরষ্কার ঘোষনা!

মো. আশিকুর রহমান : বিড়ালটি অতি আদরের, শখ করে মালিক নাম রেখেছিলেন নান্টু। কয়েক বছর আগে কর্মস্থল হতে বাড়ীতে ফিরছিলেন সরকারি কর্মকর্তা বর্তমানে খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর আঞ্জুমান রোড এলাকার বাসিন্দা সরকারি কর্মকর্তা মো.শওকত আলী। হঠাৎ, পরিত্যক্ত একটি ড্রেনের ভেতরে বিড়ালটিতে তিনি দেখতে পেয়ে হাতে তুলে দেন। আদর করে নামও রাখেন নান্টু। এরপর কেটে কয়েকটি বছর। ধীরে ধীরে নান্টু আজ বেশ নাদুস নুদুস একটি পোষা প্রাণীতে পরিনত হয়েছে। তিনি তাকে নিজের সন্তানের মতই যতœ করেন। গত, ৭ ডিসেম্বর (রবিবার) তিনি বাড়ীর বাইরে ছিলেন, এসে আর নান্টুকে দেখতে পাননি, নান্টু নিঁখোজ। আশপাশের সকলস্থানে বিড়ালটিতে তিনি খুজে চলেছেন। বিড়ালটির সন্ধান দিতে পারলে সন্ধ্যানদাতাকে তিনি পুরষ্কৃতও করবেন বলে জানিয়েছেন।
বিড়ালের মালিক শওকত আলী জানান, বিড়ালটি আমি এখন হতে প্রায় দুই বছর আগে একটি পরিত্যক্ত ড্রেনের মধ্যে ওকে দেখতে পায়। ওই নর্দমার ড্রেনের ভেতর থেকে বিড়ালটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। তখন ওর শরীর তেমন নাদুসনুদুস ছিল না। বাড়ীতে আনার স্ত্রীর হাতে ওকে তুলে দেয়, নাম দেওয়া হয় নান্টু। পরিবারের সকলের আতিথিয়তা ও সেবা যত্ম পেয়ে সেদিনের সেই অবহেলিত বিড়ালটি আজ অতি আদরের নান্টু হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। গত, ৭ ডিসেম্বর আমার ভাড়াবাড়ীর নিচতলা হতে এলাকা হতে নিখোঁজ হয়। বিড়ালটি পরিবারের সকলের কাছে এত আদরের, ওর নিখোঁজের খবরে পরিবারের সকল সদস্যদের মাঝে শোকের মাতব বাইছে।
তিনি আরো জানান, অফিসের কাজ শেষে বাড়ীতে ফিরলে নান্টু প্রথমেই পাশে এসে পাশে বসে, গা ঘেষাঘষি করে, লাফ দিয়ে কোলে ওঠে। তখন উপায় একটাই, তাকে ঠান্ডা রাখতে এক বাটি দুধ দিতে হয়। এক বাটি দুধ পান করে, চুপটি করে আমার কাছে বসে থাকতো। সত্যি মনটা অনেক খারাপ, হতে পারে এটা একটা প্রাণী। তারপরও ও আমার কাছে সন্তানতুল্য। ওকে হারিয়ে আমার পরিবারের সদস্যর মনমরা হয়ে আছে। তিনি আরো জানান, যদি কেউ আমার নান্টু সন্ধ্যান দিতে পারে, তবে আমি প্রতিদান হিসাবে নয়, খুশি হয়ে তাকে পুরস্কৃত করবো এবং তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো।
এ ব্যাপারে মো. সারাফাত হোসেন জানান, বিড়ালটি হারানো পর মামার মন সর্বক্ষন খুব খারাপ। ঠিক মতো খাওয়া, দাওয়া করছেন না। সারাক্ষন মন খারাপ করে থাকছেন। যদি কেউ বিড়াল পেয়ে থাকে, তবে আমাদের জানালে বা সন্ধ্যান দিতে পারলে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকার করাসহ খুশি হয়ে পুরষ্কৃত করবো।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button