স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও শ্রমিক সমাজের অধিকার নিশ্চিত হয়নি : মাস্টার শফিকুল আলম

# খুলনা মহানগরী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের বিজয় র্যালী #
খবর বিজ্ঞপ্তি ঃ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা মাস্টার শফিকুল আলম বলেছেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত হয়নি। উল্টো শ্রমিকরা তাদের দাবি আদায় করতে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হয়। শ্রমিকদের সেই আন্দোলন-সংগ্রামেও লাঠিপেটাসহ নানা ধরনের নির্যাতন করা হয়। এজন্য শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে দেশে ইসলামি শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তিনি বলেন, মহান বিজয় দিবস আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে শ্রমিক সমাজকে অশ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে এবং ন্যায্য অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সকালে খুলনা মহানগরী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে খালিশপুর শিল্পাঞ্চলের পিপলস জুটমিলস গোল চত্বরে শ্রমিক সমাবেশ ও বিজয় রালীতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।
খুলনা মহানগরী সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ডা. সাইফুজ্জামানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান ও মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল। অন্যানের মধ্যে বক্তৃতা করেন মহানগরী ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন, মহানগরী জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মুকাররম আনসারী, দৌলতপুর থানা আমীর মুশাররফ আনসারী, আড়ংঘাটা থানা আমীর মনোয়ার আনসারী, মহানগরী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি রাকিব হাসান, সাবেক নেতা মুনসুর আলম চৌধুরী, বিএল কলেজের ভিপি এডভোকেট জাকিরুল ইসলাম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মহানগরী সহ-সভাপতি এস এম মাহফুজুর রহমান, সাখাওয়াত হোসেন, কাজী মাহফুজুর রহমান, খালিশপুর থানা সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, দৌলতপুর থানা সভাপতি রফিকুল ইসলাম, আড়ংঘাটা থানা সভাপতি শাহিনুল ইসলাম, দৌলতপুর জুট প্রেস এন্ড বেলিং ওয়ার্কার্স শ্রমিক ইউনিয়ন এর সভাপতি আব্দুল খালেক হাওলাদার, পরিবহন শ্রমিক নেতা কামাল হোসেন, আব্দুল বারেক, আসলাম শিকদার, শ্রমিকনেতা মাহবুবুর রহমান জুনায়েদ, নুরুল হক, মাওলানা শরিফুল ইসলাম, মুরাদ সোহাগ, আলী হায়দার নিরু, সাদ্দাম হোসেন, কামরুল ইসলাম, আব্দুল হাকিম, বদরুর রশিদ মিন্টু প্রমুখ।
অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, “বিজয় দিবস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়-অন্যায়, জুলুম ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম ছাড়া কোনো জাতির মুক্তি সম্ভব নয়। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে কারও প্রতি বৈষম্য থাকবে না এবং মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হবে।”
দেশ গঠনে যুবসমাজের ভূমিকার ওপর জোর দিয়ে এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল বলেন, “দেশের মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ যুবক। এই শক্তিকে সঠিক পথে পরিচালিত করা গেলে বাংলাদেশ অল্প সময়ের মধ্যেই কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত হবে। কিন্তু নৈতিকতা ও আদর্শবিচ্যুতি ঘটলে এই শক্তিই সমাজের জন্য ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। বিজয় দিবসের ভাবমূর্তি ও রাষ্ট্রের স্বাধীনতা রক্ষার্থে সকল অপশক্তিকে রুখে দিতে যুব সমাজকে প্রস্তুত থাকতে হবে।



