প্রার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতে নিরাপত্তা দেওয়া হবে : কেএমপি কমিশনার

স্টাফ রিপোর্টার ঃ
নির্বাচনে প্রার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের নবনিযুক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান বলেছেন, কোনো প্রার্থী নিরাপত্তার জন্য আবেদন করলে তাকে আবেদনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে তিনি কী ধরনের হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন। এরপর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা সিটিএসবি বিষয়টি তদন্ত করবে। তদন্তে হুমকির সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেওয়া হবে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি)র প্রেসকনফারেন্স রুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশে পূর্ববর্তী এক নির্বাচনে প্রায় ১৭ লাখ ৫০ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সর্বশেষ নির্বাচনে পুলিশের সংখ্যা ছিল প্রায় দেড় লাখ। বাকি দায়িত্ব পালন করেছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, আনসার, কোস্টগার্ড, র্যাব ও বিজিবি। তিনি বলেন, “ইনশাআল্লাহ নির্বাচন বানচাল করার সক্ষমতা কারোর নেই। অন্তত আমার মহানগরে আমি এমন কিছু দেখছি না।”
তিনি আরও জানান, সরকার নজিরবিহীনভাবে নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। বুধবার সকালে খুলনায় নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশের জন্য তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়েছে। এই প্রশিক্ষণে বডি অন ক্যামেরা ব্যবহার, যেকোনো পরিস্থিতিতে ভোট গ্রহণ বন্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করার কৌশলসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য নির্দিষ্ট গাইডলাইন অনুসরণ করা হচ্ছে এবং প্রশিক্ষকরা পুলিশ সদর দপ্তর থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
খুলনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কমিশনার বলেন, তিনি সদ্য যোগদান করেছেন। ইতোমধ্যে তিনি জানতে পেরেছেন যে নগরীতে তিনটি সন্ত্রাসী গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। এ বিষয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে।
ডিজিটাল অপরাধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধীদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। বর্তমানে অপরাধীরাও ডিজিটালভাবে আরও আধুনিক হয়ে উঠেছে। তারা সাধারণ ফোন ব্যবহার না কওে হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন এনক্রিপ্টেড মাধ্যম ব্যবহার করছে, যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। এরপরও পুলিশ সক্রিয় রয়েছে।
সম্প্রতি আদালত পাড়ায় সংঘটিত হত্যাকান্ডের বিষয়ে তিনি জানান, এ ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে আপাতত বিস্তরিত প্রকাশ করা হচ্ছে না। দৃশ্যমান অগ্রগতি হলে তা গণমাধ্যমে জানানো হবে।
এসময় কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এ- অপারেশন) মোহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ( ট্রাফিক এ- প্রটোকল) মুহাম্মদ শাহনেওয়াজ খালেদ, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) এস এম শাকিলুজ্জামান, উপ-পুলিশ কমিশনার ( দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, সহাকারি পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) ত ম রোকনুজ্জামান প্রমুখ। এসময় স্থাণীয় বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।



