নৌ বাহিনীতে চাকুরী প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ : অবশেষে যৌথবাহিনীর হাতে আটক

# প্রতারক তরিকুলের দৌরাত্ম্য থামছেনা #
শেখ ফেরদৌস রহমান: প্রতারক তরিকুল ইসলাম তারার প্রতারণার দৌরাত্ম্য যেন থামছেনা। তিনি এক সময়ে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকুরী করতেন। তবে বয়রা পুলিশ লাইনের ভিতর থেকে অন্য পুলিশ সদস্যর সাইকেল চুরি করার অপরাধে তাকে চাকুরীচ্যূত করা হয় বলে জানাগেছে। তার শ্বশুরবাড়ী এলাকা থেকে এর আগে একাধিকবার বেকার চাকুরী প্রত্যাশি যুবকদের কাছ থেকে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করলেও বিষয়টি নিয়ে একাধিক অভিযোগের পরও স্থায়ী কোন সমাধান হচ্ছেনা। তার প্রতারণার কার্যক্রম থেমে নেই। গেল কয়েকমাস আগেও তিনি যৌথবাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন। গতকাল নগরীর সঙ্গীতা হলের সামনে থেকে তাকে যৌথ বাহিনী তাকে আটক করে। নৌবাহিনীতে ভর্তি সংক্রান্ত প্রতারণার সাথে জড়িত থাকায় ভুক্তভোগীদের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় জনসাধারণের সহযোগিতায় তরিকুল আটক হয়েছে। তরিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবৎ অর্থের বিনিময়ে নৌবাহিনীতে লোক ভর্তি সংক্রান্ত প্রতারণামূলক কর্মকা-ে জড়িত রয়েছে। উক্ত ব্যক্তি নিজেকে কমান্ডার মাহমুদুল হাসান নামে পরিচয় দেন এবং নৌবাহিনীতে চাকরি দেয়ার আশ্বাস দিয়ে প্রতারণা মূলকভাবে নওগাঁ জেলার বাসিন্দা মোঃ রাকিব এর নিকট হতে পাঁচ লাখ ত্রিশ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়া জয়পুরহাট এলাকার মোঃ নওশাদ আলী, নিকট থেকে পাঁচ লাখ আশি হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে প্রার্থীকে নৌবাহিনীর নাবিক হিসেবে ভুয়া নিয়োগপত্র প্রদান করে।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগীরা জানতে পারেন তাদেরকে ভুয়া নিয়োগপত্র দেয়া হয়েছে। এছাড়া গতকাল প্রতারণামূলক ভাবে ৭০ হাজার টাকা গ্রহণকালে তাকে হাতেনতে আটক করে যৌথ বাহিনি। এছাড়া প্রতারক তরিকুল নিজেকে “কমান্ডার সফিকুল ইসলাম, এফআইও আইসি, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বানৌজা তিতুমীর, খুলনা’ নামে ভুয়া সীলমোহর ব্যবহার করে স্বাক্ষর করে। একই রকম ভর্তিসংক্রান্ত প্রতারণামূলক কর্মকা- পরিচালনা করে গেল বছরে ২৪ শে অক্টোবর এবং চলতি বছরের ১৮ জুন নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট খুলনা কর্তৃক তাকে আটক করে। পরবর্তিতে প্রতারক জামিনে বের হয়ে এসে একইভাবে প্রতারণামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে থাকে বলে জানা যায়। এছাড়া নিজের এলাকা, শ্বশুরবাড়ী থেকে তিনি বেশ কয়েকজন চাকুরী প্রত্যাশিত বেকার যুবকদের সেনাবাহিনী ,বিজিবিতে চাকুরী দেয়ার কথা বলে ভুয়া নিয়োগ পত্র দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ আছে। এমনকি বিজিবিতে চাকুরীতে যোগদান করার আগে ভুয়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করার জন্য প্রার্থীর বাড়ীতে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর জন্য ভুয়া পুলিশ পাঠিয়ে বিশ্বাস অর্জণ করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে জানিয়েছেন তার শ্বশুরবাড়ী এলাকার একাধিক মানুষ। এমনকি তিনি এই প্রতারণার অর্থ দিয়ে রাতারাতি বিলাসবহুল ৪র্থ তলা ভবণসহ একাধিক জমির মালিক বনে গেছেন। তবে সাধারণ ভুক্তভোগী মানুষের একটি কথা এই প্রতারক তরিকুলের শেষ কোথায়? কবে থামবে তার এই প্রতারণা ? আবারও জামিনে বের হয়ে করবে অন্য কোথাও কোন জেলায় এমন প্রতারণা। এ বিষয়ে সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন যুবককে চাকুরী দেয়ার কথা বলে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে তরিকুল ইসলাম তারা নামে এক প্রতারককে আটক করেছে যৌথবাহিনী। বর্তমানে থানা হেফাজতে আছে তার বিরুদ্ধে একাধিক ভুক্তভোগীর অভিযোগ করেছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।

