তারেক রহমানই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের একমাত্র নির্ভরযোগ্য নেতৃত্ব : শফিকুল আলম তুহিন

# সদর থানা বিএনপির আনন্দ মিছিল #
স্টাফ রিপোর্টার ঃ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বই বাংলাদেশের ভেঙে পড়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং রাষ্ট্র কাঠামো পুনর্গঠনের একমাত্র নির্ভরযোগ্য পথ বলে মন্তব্য করেছেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে খুলনা সদর থানা বিএনপির আয়োজিত আনন্দ মিছিলের সূচনালগ্নে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শফিকুল আলম তুহিন বলেন, বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রকে একটি দলীয় নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যবস্থায় পরিণত করা হয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে তারেক রহমান শুরু থেকেই আপসহীন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা কোনো কাগুজে ঘোষণা নয়; এটি একটি লুটপাটমুক্ত, জবাবদিহিমূলক ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র বিনির্মাণের রাজনৈতিক রোডম্যাপ। এই রূপরেখাই প্রমাণ করে, তারেক রহমান কেবল বিরোধী নেতা ননÑতিনি ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের স্থপতি। তুহিন আরও বলেন, ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী গণতন্ত্রকে হত্যা করে, গণমাধ্যমকে স্তব্ধ করে এবং ভিন্নমত দমন করে রাষ্ট্রকে ব্যর্থতার দিকে ঠেলে দিয়েছে। এই ভয়াবহ বাস্তবতায় তারেক রহমান নতুন প্রজন্মের কাছে আশার প্রতীক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। তিনি বলেন, তারেক রহমান স্পষ্টভাবে ঘোষণা দিয়েছেনÑসুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশে কোনো বৈধ সরকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। জনগণের রায়ই হবে রাষ্ট্র পরিচালনার একমাত্র বৈধ ভিত্তি।
শফিকুল আলম তুহিন বলেন, যারা গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, যারা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করেছে, ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না। কিন্তু যারা জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে অগ্রভাগে রয়েছেন, তারেক রহমান তাদেরই নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
সদর থানা বিএনপির সভাপতি কেএম হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোল্লা ফরিদ আহমেদ এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, শফিকুল ইসলাম শফি, শরিফুল ইসলাম টিপু, অ্যাডভোকেট হালিমা খানম, মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, আবু সাঈদ শেখ, কেএম জলিল, আফসার উদ্দিন, মনিরুজ্জামান মনির, মাসুদুল হক হারুন, ইফতেখার হোসেন বাবু, এসএম নুরুল আলম দীপু, জহিরুল ইসলাম খান জুয়েল, বাইজিদ হোসেন, মনজুরুল আলম, সওগাতুল আলম ছগির, মোল্লা নুরুল ইসলাম, আমিন আহম্মেদ, জমির হোসেন দিপু, সরোয়ার মাতুব্বর, বাবুল রানা, মাফিজুল সরদার, মেহেদি হাসান লিটন, মফিজুল ইসলাম, কামাল বিন রায়হান, আতিয়ার রহমান বাবু, মিজানুর রহমান মিজান, একেএম সেলিম, মঈনুল ইসলাম কিরন, হুমায়ুন কবির চৌধুরী, শাহিনুল ইসলাম, জি এম মঈন উদ্দীন, তৌহিদুল ইসলাম বাবু, জিয়াউর রহমান আপন, নাজমুল ইসলাম, ইয়াকুব সরদার, আবুল কালাম আজাদ লাভলু, এবিএম জাকির হোসেন, রুবেল জমাদ্দার, শাহারুজ্জামান শাহীন, মো: মনির হোসেন, জাহানারা পারভিন, কাওছারি জাহান মনজু, রোকেয়া ফারুক, হোসনেয়ারা পারভিন চাদনি, রাশিদা আক্তার ময়না, ইরিনা আক্তার, লায়লা পারভিন, রিক্তা, সুলতানা, নাজমুন নাহার শিখা, রিনা আকাতার, খাদিজা আক্তার, হাজেরা বেগম, শারমিন তানিয়া, রুমানা ন্যান্সি, জামিলা, নাসিমা আক্তার প্রমূখ। আনন্দ মিছিলে খুলনা সদর থানা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। মিছিলটি নগরীর রেলওয়ে স্টেশন থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।



