স্থানীয় সংবাদ

খুমেক হাসপাতালে অফিসের দাপ্তরিক গোপনীয় তথ্য ফাঁস

# প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইখতিয়ারে বিরুদ্ধে ব্যবস্থ্যা নিতে কর্তৃপক্ষর চিঠি #

স্টাফ রিপোর্টার: খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দাপ্তরিক বিভিন্ন গোপনীয় তথ্য সরবারাহ সহ কর্মিদের বিরুদ্ধে অবাস্তব মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করার অভিযোগ উঠেছে খুমেক হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জি,এম ইকতিয়ার উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে ঘটনাটির সত্যতা পেয়েছে। যে কারণে অভিযুক্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগের চিঠি পাঠিয়ে ব্যবস্থা নিতে মহা পরিচালক স্বাস্থ্য বিভাগে প্রশাসনিক বিভাগকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে হাসপাতালটির পরিচালক ডাঃ কাজী মো. আইনুল ইসলাম । যার স্মারক নং খুমেকহা/শা-/২০২৫/৫৪৮, তারিখ : ০৮/১১/২০২৫ইং এছাড়া তার বিরুদ্ধে সহকর্মিদের নামে বিভিন্ন অনলাইন ফেসবুক পেজে নামসর্বত্র মিডিয়াতে মিথ্যা তথ্য সরবারাহ করিয়ে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করিয়ে হাসপাতালটির ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করছে। পাশাপাশি অন্যান্য সহকর্মিদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে খুমেক হাসপাতালে এক কর্মচারী বলেন, এই প্রশাসনিক কর্মকর্তা একজন দুর্নীতীবাজ অর্থের বিনিময়ে সব কিছু তার পক্ষে সম্ভব। এমনকি মোটা অংকের বিনিময়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে হাসপাতালটির ওয়ার্ড বয় সোহেলকে খুমেক হাসপাতালে ওয়ার্ডমাস্টারে দায়িত্ব দিয়ে সমালোচনার স¤œুখিন হয়। পরবর্তিতে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেয়। এছাড়া গোপালগঞ্জ থাকাকালিন সোহেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করে অভিযোগের ভিক্তিতে যার স্মারক নং ২৪.৬৬১ । এছাড়া খুমেক হাসপাতালে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে অফিসের এমন গোপনীয় তথ্য সরবারাহ করতে পারে যে কর্মকর্তা তিনি এখনও কিভাবে বহাল তবিয়তে আছেন আমাদের প্রশ্ন। দ্রুত তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া উচিত। এ বিষয়ে খুমেক হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জিএম,ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সত্য না আমি কোন তথ্য পাচার করিনি। এ বিষয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ কাজী মো. আইনুল হক বলেন, ঘটনাটি সত্য আমরা প্রশাসনিক কর্মকর্তার ইখতিয়ার উদ্দিনের বিরুদ্ধে অফিসের গোপনীয় তথ্য ফাসঁ করাও সহকর্মিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ করার জন্য তিনি কিছু অসাধু মিডিয়া ব্যবহার করিয়েছেন। আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠিয়েছি। বর্তমানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে শৃঙ্খলা শাখায় তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডাঃ মুজিবুর রহমান বলেন, আমি বিষয়টি জানিনা। এছাড়া সরাসরি খুমেক হাসপাতাল আমার নিয়ন্ত্রনে নেই। আমি দেখছি কি বিষয়।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button