জাতীয় সংবাদ

অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি হলে গাজায় ইসরায়েলি ট্যাংকের কী হবে?

প্রবাহ রিপোর্ট ঃ ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যে কোনো সময় জিম্মি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি হতে পারে। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) কাতারের মধ্যস্থ্যতায় এ চুক্তির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তিটি শেষ পর্যন্ত হবে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, গাজায় তিন থেকে পাঁচদিনের যুদ্ধবিরতিও হতে পারে। তবে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিস্রা জানিয়েছেন, হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে যদি চুক্তি হয়ও; তাহলে তিনটি চ্যালেঞ্জিং বিষয় সামনে আসবে। তিনি বলেছেন, ‘প্রথমটি হলো, এই চুক্তি কার্যকরে যেসব বাধা আছে সেগুলো দূর করতে হবে। গাজার মতো জায়গায় যা কঠিন হবে। এছাড়া এ ব্যাপারে আরও অনেক প্রশ্ন আছে যেগুলোর উত্তর জানা প্রয়োজন। যখন (অস্থায়ী) যুদ্ধবিরতি শুরু হবে তখন ইসরায়েলি ট্যাংকগুলো কী করবে। ট্যাংকের ভেতর থাকা সেনারা কী লড়াই থামিয়ে দেবে? কিভাবে হামাস বিভিন্ন (গোপন) জায়গা থেকে ইসরায়েলি জিম্মিদের জড়ো করবে? এছাড়া জিম্মিদের (গোপন জায়গা থেকে) বের করার সময় ইসরায়েলিরা যে তাদের ওপর নজর রাখবে না এ বিষয়টি কিভাবে হামাস নিশ্চিত করবে।’ ‘দ্বিতীয়টি বড় বিষয়টি হলো কারা জিম্মি ও বন্দি বিনিময়টি দেখবে। আর তৃতীয়টি হলো, যদি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করা হয় তাহলে কি হবে?’ আলজাজিরার এ বিশ্লেষক আরও বলেছেন, হামাসকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ‘নিখাদ শয়তান’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। হামাস নিশ্চিত করতে চায়, তারা এমন নয় যেমনটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন। হামাস হলো ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী ; যারা সাধারণ ফিলিস্তিনিদের মতো অবরুদ্ধ ও দখলদারিত্বের মধ্যে আছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button