২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১৬৯৭ : এইডসে ২৬৬
ফিরে দেখা ২০২৩, মহামারীতে বুক ভেঙ্গেছে প্রায় ২ হাজার পরিবারের
প্রবাহ রিপোর্ট : দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগের ধরন শনাক্তের পর থেকে এ রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হারে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে বিদায়ী বছর। একই সঙ্গে বিগত ৩৪ বছর অর্থাৎ ১৯৮৯ সালে দেশে প্রথম এইডস রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এক বছরে এ রোগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায়ও শীর্ষে রয়েছে ২০২৩ সাল। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৩’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যে আসকের নির্বাহী পরিচালক ফারুক ফয়সাল বলেন, বাংলাদেশে ২০২৩ সালে ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্তের হার যেমন বেড়েছে, তেমনই মৃত্যুর সংখ্যা সর্বোচ্চ ছুঁয়েছে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট এক হাজার ৬৯৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, যেখানে গত ২৩ বছরে দেশে ডেঙ্গুতে মোট মারা গেছেন ৮৬৮ জন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট তিন লাখ ২০ হাজার ৮৩৫ জন। গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। অন্যদিকে ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। এর আগে ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় ২০১৯ সালে, ১৭৯ জনের। এবছরের মোট মৃত্যুর সংখ্যা সে রেকর্ডও ভেঙেছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে ডেঙ্গুর এই ভয়াবহ প্রকোপের পেছনে গত কয়েক বছর ধরে চলমান অপরিকল্পিত নগরায়ন, মশক নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা, স্বাস্থ্যখাতের দুরবস্থাসহ বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ‘জাতীয় যক্ষ্মা, কুষ্ঠ ও এইডস নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশে নতুন করে এইডস শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ২৭৬ জনের, গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৯৪৭। আসকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে দেশে এইডস আক্রান্তদের মধ্যে ২৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বছর মারা যান ২৩২ জন। ১৯৮৯ সালে দেশে প্রথম এইডস রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এক বছরে আক্রান্ত ও মৃত্যুর এ সংখ্যাকে সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন অষ্টম। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, ক্রমবর্ধমান চিকিৎসা ব্যয় ১৪ শতাংশেরও বেশি ডায়াবেটিস রোগীকে আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকিতে ফেলছে।