জাতীয় সংবাদ

ভোটের মাঠ এখন নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে : ইসি রাশেদা

প্রবাহ রিপোর্ট : ভোটের মাঠ এখন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিয়ন্ত্রণে দাবি করে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এখন ইসির ভাবনায় শুধু নির্বাচন। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হবে। গতকাল বুধবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন তিনি। ৭ জানুয়ারি ২৯৯ আসনে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট হবে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপারে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ও সশস্ত্রবাহিনী মাঠে নেমেছে জানিয়ে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটকে কেন্দ্র করে যেখানেই অনিয়ম হবে সেখানেই নির্বাচন কমিশন অ্যাকশনে যাবে, প্রয়োজনে সে কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে দেওয়া হবে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে ইঙ্গিত করে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, এবার আন্তর্জাতিক অগ্নিপরীক্ষা ঠিক এই সেন্সে না, আসলে এইরকম একটা সেন্স, ইলেকশনটা যদি গ্রহণযোগ্য মাত্রায় না যায়, ওই সময় নানা রকম আন্দোলনের মধ্য দিয়ে একটা ভোট হয়েছিল।…তারপরে সেই ইলেকশনটি কিন্তু দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়নি। এটা গ্রহণযোগ্য হয়নি বলে কিন্তু অল্পদিনে আবারও একটা ইলেকশন হয়ে গেছে। বিএনপির বর্জনের মধ্যে ভোটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার মধ্যে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মতো স্বল্প সময় স্থায়ী নির্বাচনের মতো পুনরাবৃত্তি চায় না ইসি, একথা উল্লেখ করে রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা এইরকম কোনো ইলেকশন করতে চাই না যেটা নতুন করে দেশকে একটা সংকটের মধ্যে ফেলে। আমরা চাই একটা ইলেকশন হবে সরকার যে ফর্ম (গঠন) করবে, সেই সরকার স্থায়ী রূপ নেবে। যখনই সরকার অস্থায়ী অবস্থায় চলে যায় দেশ তখন বিপর্যয়ের মধ্যে চলে যায়। এই সেন্সে থেকে হয়তো আমাদের মাথায় এসেছে আমরা একটা ফেয়ার ইলেকশন করবো। আন্তর্জাতিক চাপ আমাদের জন্য কিছু না বা অন্য বিষয়ই না। কোনো দিক থেকে কোনো চাপ না। তিনি বলেন, সবাইকেই দেখাতে চাই। আমাদের দেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক বিশ্বকে দেখাতে চায়। আন্তর্জাতিক বিশ্বের কথাটা আমাদের মাথায় রাখতেই হবে। কারণ আমরা গোটা বিশ্বের একটা অংশ। আমরা মনে করি আমাদের একটা নৈতিক দায়িত্ব একটা ভালো নির্বাচন করা। যেখানেই সহিংসতা হবে সেখানেই নির্বাচন কমিশন অ্যাকশনে যাবে বলে মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের যতগুলো আয়োজন সব আয়োজনের মূল্য উদ্দেশ্য শান্তি শৃঙ্খলার সঙ্গে ভোট পরিচালনা করা। পরিবেশ সুন্দর করার জন্য ও সবাই যাতে অবাধ ও সুষ্ঠভাবে ভোট দিতে পারে সে জন্যই সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে। যতটুকু দেখার সুযোগ হয়েছে আমরা বাইরের পরিবেশ দেখেছি তাতে মনে হয়েছে ভোটের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। যতগুলো সংলাপ করেছি সবাই কিন্তু বলেছে সেনাবাহিনী নামান। ভোট বর্জন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি মনে করি আমাদের যেগুলো বাহিনী আছে তারা সবাই সক্ষম, সব কিছু উন্নতি হয়েছে। সব দল ভোটে আসার পরে ভোট করা সহজ না কঠিন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আমি বলতে পারবো না। কারণ সব দল ভোটে আসার আগেও ভোট করি নাই, পরেও করি নাই। এটা আমার ফার্স্ট টাইম অভিজ্ঞতা। এটা সঠিকভাবে বলতে পারবো না আসলে কি আর না আসলে কি। আগে অভিজ্ঞতা অর্জন করি তারপর বলতে পারবো। সবাই আসলে কি হতো না আসলে কি হবে এটা বলা কঠিন। আমরাতো ওঁদের (ভোট বর্জনকারীরা) পাচ্ছি না, পাইলে বলা যেত। তবে আমরা এটা বলতে পারি ভোট উৎসবমুখর হচ্ছে। সরকার সুষ্ঠু ভোটের প্রত্যাশা করে কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার কি পথে হাঁটছে বলতে পারবো না। কারণ সরকারের সঙ্গে আমাদের কোনো লিয়াজো নাই। কোনো দিন সরকারের কারও সঙ্গে উঠা-বসা নেই। তবে পেপার পত্রিকায় যা খবর পাচ্ছি সরকারও চায় একটা ফেয়ার ইলেকশন হোক।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button