বিএসএফের গুলিতে বিজিবি সদস্য নিহত

প্রবাহ রিপোর্ট : যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার ধান্যখোলা সীমান্ত দিয়ে অবৈধপথে ভারত থেকে গরু আনাকে কেন্দ্র করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক সদস্য নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন যশোর-৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল হোসাইন আহম্মেদ জামিল। বেনাপোলের ধান্যখোলা সীমান্তের জেলেপাড়া বিজিবি পোস্টের সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিজিবি জানায়, গত সোমবার ভোরে ধান্যখোলা সীমান্ত এলাকা দিয়ে চোরাকারবারিরা ভারত থেকে চোরাইপথে গরু আনছিল। বিষয়টি টের পেয়ে বিজিবি সদস্যরা চোরাকারবারিদের ধাওয়া দিলে তারা ভারত সীমান্তে ঢুকে পড়ে। এ সময় বিজিবি সদস্য রইস উদ্দীন ঘন কুয়াশার কারণে দলবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রথমে তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, তিনি বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার পরপরই এ বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয় এবং জানা যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বিজিবি সদস্য মৃত্যুবরণ করেন। স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার ভোরে অন্তত কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শুনেছেন তারা। বিজিবি ক্যাম্পে পাচার হওয়া দুটো গরুকেও আটক রাখা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে সীমান্তে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে বলে দাবি স্থানীয়দের। এরই মধ্যে ঘটনাস্থল ধান্যখোলা জেলেপাড়া ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন বিজিবির দক্ষিণ-পশ্চিম রিজিওন কমান্ডার ও যশোর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল হোসাইন আহম্মেদ জামিল। নিহত রইস উদ্দীনের গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়। তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ঘটনার বিষয়ে লে. কর্নেল হোসাইন আহম্মেদ জামিল বলেন, বিএসএফকে বিষয়টির ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানানোর পাশাপাশি কূটনৈতিকভাবে তীব্র প্রতিবাদলিপি প্রেরণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও লাশ বাংলাদেশে দ্রুত ফেরত আনার বিষয়ে সব পর্যায়ে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।