৫ বছরে ৬০ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা

প্রবাহ রিপোর্ট ঃ ২০২৩ সালে ১৩ লাখ ৫ হাজার ৪৫৩ জনকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে ৬০ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠানোর কর্মপরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এসব তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, বিদেশে কর্মী পাঠানো একটি চলমান প্রক্রিয়া। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদৃষ্টি এবং সঠিক ও সময়োপযোগী কূটনৈতিক তৎপরতায় স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য অভিবাসন এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। তার ধারাবাহিকতায় ছয় হাজার ৮৭ জন কর্মী পাঠানোর মধ্যে দিয়ে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের যাত্রা শুরু হয়। সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে বিদেশে কর্মী পাঠানো উত্তরোত্তর। ২০২২ সালে ১১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৭৩ জন কর্মসংস্থানের জন্য বিদেশে যান। ২০২৩ সালে এ সংখ্যা ১৩ লাখ পাঁচ হাজার ৪৫৩ জনে উন্নীত হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে ৬০ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠানোর কর্মপরিকল্পনা রয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে ১৭৬ দেশে কর্মী পাঠানো হচ্ছে: বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের প্রায় ১৭৬ দেশে কর্মী পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালদ্বীপ ও মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো হচ্ছে বলেও তিনি জানান। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে স্বতন্ত্র সদস্য আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগাঢ়ের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এসব তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের প্রায় ১৭৬ দেশে কর্মী পাঠানো হচ্ছে। বর্তমান সরকার দেশের অধিক জনশক্তি রপ্তানি করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালদ্বীপ এবং মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানোর বিষয়ে ১৭ দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক বা চুক্তি সই হয়েছে। নতুন নতুন দেশ যেমন কম্বোডিয়া, সিশেলস, হার্জেগোভিনা, রোমানিয়া, উজবেকিস্তান, ইউক্রেন, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, চীন ইত্যাদি দেশে বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানো শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী পুনঃপ্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে ফেরত আসা কর্মীদের পুনরায় বিদেশে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, পূর্ববর্তী শিক্ষা ও কাজের স্বীকৃতি এবং তার সনদ দেওয়া হচ্ছে ফলে বিদেশে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।