অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে অভিযানে সিআইডি

প্রবাহ রিপোর্র্ট : আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অবৈধ মজুতদারি ও বাজার কারসাজিকারীদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মজুতদারি, কালোবাজারি অথবা কারসাজি যারা করছেন তাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছে সিআইডির ১২টি পৃথক টিম। তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে সিআইডি। গতকাল বৃহস্পতিবার মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। গত জানুয়ারিতে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভা থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অবৈধ মজুতদারি ও বাজার কারসাজিকারীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন এসব অপকর্মের হোতাদের তাদের কাজের জন্য কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। কেউ মজুতদারি ও কালোবাজারি করে খাদ্যদ্রব্যের দাম নিয়ে যেন খেলতে না পারে সেজন্য জনগণকে সতর্কও করেছেন তিনি। গত জানুয়ারিতে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভা থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অবৈধ মজুতদারি ও বাজার কারসাজিকারীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন এসব অপকর্মের হোতাদের তাদের কাজের জন্য কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। কেউ মজুতদারি ও কালোবাজারি করে খাদ্যদ্রব্যের দাম নিয়ে যেন খেলতে না পারে সেজন্য জনগণকে সতর্কও করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী সে বৈঠক থেকে আরও বলেছিলেন, কেউ অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো পণ্য মজুত করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আমরা তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব এবং প্রয়োজনে তাদের কারাগারে পাঠানো হবে। আসন্ন রমজানে ঢাকা সিটিতে কেউ যাতে ইনটেনশনালী দ্রব্যমূল্য নিয়ে কারসাজি করতে না পারে সেজন্য নজরদারি করা হচ্ছে উল্লেখ করে সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, আমরা ১২টি টিম গঠন করেছি। তারা মাঠে কাজ করছে, নজরদারি চালাচ্ছে। তিনি বলেন, যারা ইচ্ছেকৃত নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির পায়তারা করছে তাদের বিশেষ নজরদারি থাকছে। কেউ যাতে মূল্যবৃদ্ধি করতে না পারেন সেটাই এ ১২টিমের কাজ। যেসব ব্যবসায়ী মজুতদারি, কালো বাজারি করছেন, নজরদারিতে ধরা পড়লে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকা-ের শিকার গ্রিন কোজি কটেজ ভবন থেকে ১৫টির বেশি আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সংগ্রহ করা আলামত পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহে স্পষ্ট হবে আগুনের নেপথ্যে কী ছিল। এসব জানান সিআইডি প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া। সিআইডি প্রধান বলেন, রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস যখন সব কাজ শেষ করে, আগুন নেভায়, তখন সিআইডির একাধিক টিম সেখানে কাজ করে। সিআইডীর ফরেনসিক টিম, ডিএনএ টিম ও কেমিক্যাল টিম কাজ করেছে। আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যেই প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। জানা যাবে আগুনের নেপথ্যে কী। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা যা জানতে পেরেছি, গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাতের সম্ভাবনাই বেশি। কেমিক্যাল আলামতও পরীক্ষা করা হচ্ছে। সেখানে বিস্ফোরক জাতীয় কিছু ছিল কি না, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। আলামত পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছি। প্রতিবেদন পেলেই আগুনের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুন লাগে। ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ১২ জনকে। এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র সুরক্ষা সচিবের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে দেন হাইকোর্ট। কমিটি চার মাসের মধ্যে বেইলি রোডে আগুনের কারণ অনুসন্ধান করবে এবং কারা এর জন্য দায়ী, তা খুঁজে বের করবে। এ ছাড়া রাজধানীর ভবনগুলোতে অগ্নিকা- প্রতিরোধে অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা কেমন হবে, তার সুপারিশ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবে এ কমিটি।