জাতীয় সংবাদ

৩২ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে তিন কোটি ৫০ লাখ টাকা টোল আদায়

প্রবাহ রিপোর্ট : টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতুতে গেল ৩২ ঘণ্টায় এপার-ওপার মিলিয়ে প্রায় ৪২ হাজার পরিবহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি ৫০ লাখ ৪০ হাজার ৩৫০ টাকা। গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। জানা গেছে, শনিবার রাত ১২টা থেকে গতকাল সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের ৪১ হাজার ৮০৪টি গাড়ি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়েছে। এর মধ্যে শনিবার রাত ১২ থেকে পরদিন রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সেতু দিয়ে সাত হাজার ৫০৯টি বাস, নয় হাজার ১৪৩টি ট্রাক, ১০ হাজার ৪১০টি ছোট গাড়ি এবং দুই হাজার ৭১৮টি মোটরসাইকেল পার হয়েছে। এছাড়া গত রোববার রাত ১২টা থেকে গতকাল সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল, বাস, ট্রাক ও অন্যান্য পরিবহন মিলিয়ে ১২ হাজার ২৪টি গাড়ি সেতু পার হয়েছে। সব মিলিয়ে গত ৩২ ঘণ্টায় টোল আদায় হয়েছে তিন কোটি ৫০ লাখ ৪০ হাজার ৩৫০ টাকা। শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৫ হাজার ৮৪টি পরিবহন বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়। এর মধ্যে বাসের সংখ্যা ছিল ছয় হাজার ৬৭টি, ট্রাক ছিল আট হাজার ৫৮১টি, ছোট বড় মিলিয়ে গাড়ি ছিল আট হাজার ৪২২টি এবং মোটরসাইকেল ছিল দুই হাজার ১৪টি। এর বিপরীতে সেতুতে টোল আদায় হয়েছিল দুই কোটি ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৮৫০ টাকা। বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে গত রোববার গাড়ির সংখ্যা বাড়ায় সেতুতে টোল আদায় বেড়েছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত সেতুতে টোল আদায় বাড়বে। তাঁর এ কথার সত্যতা মেলে সোমবার দুপুরের পর থেকেই। মুসলমানদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর ঊদযাপন করতে হাজার হাজার কর্মমুখী মানুষ কর্মস্থল ছেড়েছেন এদিন। অতিরিক্ত যাত্রী ও যানবাহনের ব্যাপক চাপে সাভারের একটি মহাসড়কে যানবাহনের ধীরগতি সৃষ্টি হয়। সোমবার বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা-আরিচা, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায়, সাভার থেকে নবীনগর পর্যন্ত যানবাহনের চাপ থাকলেও মহাসড়ক রয়েছে স্বাভাবিক। নবীনগর থেকে আরিচাগামী সড়কেও একই অবস্থা। তবে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইলের সম্ভার পাম্প থেকে কবিরপুর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে আট কিলোমিটার সড়কে যানবাহনের ধীরগতি দেখা যায়। তবে যানজটের কোনো চিত্র চোখে পড়েনি। বাইপাইল থেকে গাইবান্ধার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন পোশাকশ্রমিক লিখন মিয়া। তিনি বলেন, বাইপাইলে গাড়ির চাপ থাকলেও কোনো গাড়ি দাঁড়াতে দেয়নি পুলিশ। তবে বাইপাইল পার হতেই গাড়ির অতিরিক্ত চাপ দেখা যায়। সম্ভার পাম্প থেকে শুরু হয় ধীরগতি। এখন পর্যন্ত কবিরপুর এসেছি। কোথাও ধীরগতি আবার কোথাও থেমে থেমে চলেছে গাড়ি। তবে কবিরপুর এসে স্বাভাবিক অবস্থা দেখতে পেয়েছি। সাভার পরিবহনের চালক মোমিন বলেন, সড়কে দুপুরের পর থেকে যানবাহনের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। বেশিরভাগ বাস বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড থেকে যাত্রী নিচ্ছেন। আমরা রিজার্ভ ভাড়ায় রওনা করেছি। শ্রীপুর থেকে কবিরপুর পর্যন্ত যানবাহনের ধীরগতি দেখেছি। তবে কবিরপুরের পরে সড়ক স্বাভাবিক ছিল। যদিও চন্দ্রার আগে একটু যানজট ছিল। সাভার হাইওয়ে থানার ওসি আজিজুল হক বলেন, বাইপাইল থেকে প্রচুর গাড়ি উত্তরের দিকে যাচ্ছে। যাত্রী বাড়ায় যানবাহনের চাপ বেড়েছে। যাত্রী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। হঠাৎ যাত্রীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় এমনটা হতে পারে। তবে সড়কে কোনো ধরনের যানজট সৃষ্টি হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন
Close
Back to top button