থানচি ব্যাংক ডাকাতি : দুইজন দুই দিনের রিমান্ডে

প্রবাহ রিপোর্ট : বান্দরবানের থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির মামলায় কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফের সহযোগী সন্দেহে গ্রেপ্তার দুইজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে বান্দরবান মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে আসামিদের হাজির করে পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ হাকিম নাজমুল হোসাইন দুইজনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে জানান আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) বিশ্বজিৎ সিংহ। তারা হলেন- ৩ এপ্রিল থানচিত সোনালী ও কৃষি ব্যাংক ডাকাতির সময় ব্যবহৃত গাড়ির চালক কফিল উদ্দিন এবং কেএনএফের সহযোগী সন্দেহে গ্রেপ্তার ভানলাল বয় বম। আসামি পক্ষের আইনজীবী কাজী মহতুল হোসেন যতœ সাংবাদিকদের বলেন, “দুই আসামিকে রিমান্ডের আবেদন করলে আমরা বিরোধিতা করেছি। আসামিদের একজন জিপ চালক কফিল উদ্দিন এবং অপরজন হচ্ছে থানচি পুলিশের রিসোর্টের স্টাফ। এই দুইজনকে আদালতে উপস্থাপন করেছে। “আদালতকে বলেছি, একজন বাঙালি ছেলে। যিনি গাড়ির চালক। তিনি ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। আরেকজন পুলিশের রিসোর্টের স্টাফ। তিনি রিসোর্টের ডিউটিতে ছিলেন ঘটনার সময়। তাকে সন্দেহবশত এই মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।” এর আগে বৃহস্পতিবার বান্দরবানের রুমায় ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, অস্ত্র লুট ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় কেএনএফ সন্দেহে গ্রেপ্তার ৫২ জনের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল আদালত। একজনকে জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
আরও দুজন কারাগাওে ঃ
কেএনএফ সদস্য সন্দেহে আটক আরও দুজনকে রুমায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জিআরও বিশ্বজিৎ সিংহ। গতকাল রোববার দুপুর দেড়টায় বান্দরবান মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে আসামিদের হাজির করা হলে জ্যেষ্ঠ হাকিম নাজমুল হোসাইন এ নির্দেশ দেন। আসামিরা হলেন- রুমার মুয়ালপি পাড়ার বাসিন্দা জুয়ামৎিলম বমের ছেলে লাল জার ঙাম বম (৪৪) এবং ইডেন পাড়ার বাসিন্দা লালচৌও থাং বমের ছেলে তনক্লিং বম (৩৮)। ২ এপ্রিল রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি করে অর্থ লুট করে একদল সশস্ত্র লোক। পুলিশের ১০টি এবং আনসার সদস্যের চারটি অস্ত্রও লুট করে নিয়ে যায় তারা। অপহরণ করা হয় ব্যাংকটির ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে। দুদিন পর তাকে উদ্ধার করা হয়। রুমার ঘটনার একদিন পর ৩ এপ্রিল থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকেও দিন-দুপুরে অর্থ লুটের ঘটনা ঘটে। দুটি ঘটনায় পাহাড়ে সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ জড়িত বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর থেকে লুট হওয়া অস্ত্র-অর্থ উদ্ধারে রুমা ও থানচিতে অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী। অভিযানে অংশ নিচ্ছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ সদস্যের সদস্যরা। এ অভিযান সমন্বয় করছে সেনাবাহিনী। যৌথ বাহিনীর এই অভিযানে বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ১৮ নারীসহ ৬৮ জনকে গ্রেপ্তারের খবর জানিয়েছে পুলিশ।