জাতীয় সংবাদ

সিরাজগঞ্জে ধানক্ষেতের কাজ করতে গিয়ে গরমে অসুস্থ হয়ে কৃষকের মৃত্যু

প্রবাহ রিপোর্ট : সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ধানক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে প্রচ- গরমে অসুস্থ হয়ে জিল্লুর রহমান (৩৫) নামে এক কৃষক মারা গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার সলপ ইউনিয়নের চর তাড়াবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত জিল্লুর রহমান ওই গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে। সলপ ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকালে সোনতলা তাড়াবাড়িয়া মাঠে নিজের ধানক্ষেতের পরিচর্যা করতে যান জিল্লুর। সেখানে গরমের মধ্যে কাজ করার কিছুক্ষণ পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এ অবস্থায় আশপাশের ক্ষেতের কৃষকরা জিল্লুরকে উদ্ধার করে উল্লাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসকরা তাকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিতে বলেন। পরে সিরাজগঞ্জে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। সলপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী শওকাত ওসমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সোনতলা তাড়াবাড়িয়া মাঠে ক্ষেতে কাজ করার সময় গরমে অসুস্থ হয়ে কৃষক জিল্লুর রহমান মারা গেছেন। এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সামিউল ইসলাম বলেন, গরমে অসুস্থ হয়ে কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। তবে তিনি হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন কিনা, তা নিশ্চিত নয়।
অটোচালককে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা: সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জে ব্যাটারি চালিত অটোভ্যান চুরির উদ্দেশ্যে চালক শাকিলকে (২৫) চেতনানাশক সেবন করিয়ে ফুলজোড় নদীর পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করে। হত্যার প্রায় ছয় মাস পর রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামি আশিক (১৯) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে লোমহর্ষক এই হত্যাকা-ের বর্ণনা দেন। গ্রেপ্তার আশিক বগুড়া জেলার শেরপুর থানার নাকুয়া গ্রামের মো. বাদশার ছেলে। ভিকটিম শাকিল রায়গঞ্জ উপজেলার লাঙ্গলমোড়া গ্রামের মো. জহুরুল ইসলামের ছেলে। গতকাল মঙ্গলবার রায়গঞ্জ থানা চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রায়গঞ্জ সার্কেল) বিনয় কুমার। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ২৩ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে রায়গঞ্জ থানার চান্দাইকোনা পূর্বপাড়া এলাকায় ফুলজোড় নদী থেকে শাকিলের ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়। পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মো. ফিরোজ (২৩) নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো হয়। ক্ল-লেস এই হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ তৎপর হয়ে উঠে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রোববার ঢাকার মধ্য বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন আসামি আশিককে (১৯) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। জবানবন্দিতে আশিক জানায়, ফিরোজ, মোমিন ও আশিক মিলে শাকিলের অটোভ্যান ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা চান্দাইকোনা বাজারে দুর্গাপূজা দেখতে গিয়ে ভিকটিম শাকিলের অটোভ্যানটি মথুরাপুর বাজারে যাওয়ার জন্য ভাড়া করে। সেখান থেকে একটি কোমল পানীয় কিনে অর্ধেক নিজেরা খায় বাকি অর্ধেকে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে চালক শাকিলকে পান করায়। এরপর শাকিলের তন্দ্রাভাব চলে এলে ফিরোজ তাকে পেছনে বসিয়ে নিজেই গাড়ি চালিয়ে ফুলজোড় নদীর পাড়ের নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে শাকিলের হাত-পা ও মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে নদীর পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করে। পরে শাকিলের লাশ নদীর পানিতে ভাসিয়ে দিয়ে অটোভ্যানটি নিয়ে চলে যায়। অটোভ্যানটি মোমিন তার এক আত্মীয়ের কাছে বিক্রির পর টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়। এ ঘটনায় রায়গঞ্জ থানা পুলিশ ফিরোজকে গ্রেপ্তার করলেও আশিক ও মোমিন পালিয়ে যায়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিনয় কুমার আরও বলেন, আসামিদের মধ্যে ফিরোজ আগেই গ্রেপ্তার হয়েছে। তবে তিনি ঘটনার দায় এখনও স্বীকার করেননি। অপর আসামি মোমিন পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button