বাংলাদেশের কারাগারে আটক ৩৬৩ বিদেশি : সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রবাহ রিপোর্ট : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, বিভিন্ন অপরাধে ৩৬৩ জন বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশের কারাগারগুলোতে আটক রয়েছে। তিনি গতকাল বুধবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের টেবিলে উপস্থাপিত লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের কারাগারে বিভিন্ন অপরাধে আটক ৩৬৩ জন বিদেশি নাগরিকের মধ্যে ৮০ জন কয়েদি, ১২৭ জন হাজতি এবং ১৫৬ জন মুক্তিপ্রাপ্ত। এদের মধ্যে ভারতের ২১২ জন, মিয়ানমারের ১১৪ জন, পাকিস্তানের ৭ জন, নাইজেরিয়া ও মালয়েশিয়ার ৬ জন করে, চীনা ও বেলারুশের ৪ জন করে, পেরু ও ক্যামেরুনের ২ জন করে এবং আমেরিকা, বতসোয়ানা, জর্জিয়া, তানজেনিয়া, মালয় ও অ্যাংগোলার ১ করে নাগরিক আটক রয়েছে। সংসদে টেবিলে উপস্থাপিত স্বতন্ত্র সদস্য আবদুল কাদের আজাদের এক তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সরকার দেশের প্রতিটি জেলায় পর্যায়ক্রমে একশ’ শয্যাবিশিষ্ট একটি করে মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদকাসক্তদের সমাজের মূল ¯্রােতে ফিরিয়ে আনতে এবং চিকিৎসাপ্রাপ্ত মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে পুনর্বাসন কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, সমাজসেবা অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক) হতে ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর হতে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা শেষে রিকোভারি এডিক্টদেরকে তাদের পছন্দের ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে পাঠানো হচ্ছে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের জেলা পর্যায়ে রিকোভারি এডিক্টদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, ঢাকার তেজগাঁওয়ের ১২৪ শয্যাবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রকে ১৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫০ শয্যার আধুনিক হাসপাতালে উন্নীতকরণ প্রকল্প, ৭টি বিভাগীয় শহরে ১০ একর জায়গার উপরে দুইশ’ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র স্থাপনের প্রকল্প, প্রতিটি জেলায় পর্যায়ক্রমে একশ’ শয্যাবিশিষ্ট একটি করে মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে মাদকাসক্তদের চিকিৎসা শেষে তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সমাজের মূল ¯্রােতে পুনর্বাসিত করা সম্ভব হবে। আসাদুজ্জামান খান জানান, সারাদেশে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ২০২৩ সালে ৯৭ হাজার ২৪১টি মামলা দায়ের করে ১ লাখ ২০ হাজার ২৮৭ জন মাদক চোরাকারবারীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনেছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ২৯ হাজার ৩৩৬টি মামলা দায়ের করে ৩৬ হাজার ৫৯২ জন মাদক চোরাকারবারীকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনেছে।