জাতীয় সংবাদ

হিজবুল্লাহর মিসাইল হামলায় পুড়ে গেল দুই ইসরায়েলি বাড়ি

আরও ৯টি সামরিক স্থাপনায় হামলার দাবি হিজবুল্লাহর # ইসরাইল লেবাননে হামলা চালাতে চায়, ইসরাইলকে জাহান্নামে পাঠানোর কড়া হুশিয়ারি ইরানের

প্রবাহ রিপোর্ট ঃ ইসরায়েলে রকেট ও মিসাইল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে লেবানন প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ। প্রতিরোধ গোষ্ঠীটির ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের উত্তর সীমান্তবর্তী মেতুলা শহরে দুটি বাড়িতে আগুন ধরে গেছে। পুড়ে গেছে একটি পুরানো বাস। এরপর ওই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে জানা গেছে। তবে এসব হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হিব্রু ভাষার গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, এই ব্যারেজে হিজবুল্লাহ ছডটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল। এদিকে ইসরায়েলের ৯টি সামরিক স্থাপনায় হামলার দাবি হিজবুল্লাহর। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের নয়টি সামরিক স্থাপনায় হামলার দাবি করেছে লেবাননের লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। হামলায় রকেট ও সশস্ত্র ড্রোন ব্যবহার করা হয়। এটিকে ‘সমন্বিত আক্রমণ’ বলছে হিজবুল্লাহ। মঙ্গলবার ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর একজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডার নিহত হন। এর বদলা হিসেবে এই হামলা চালাল হিজবুল্লাহ। আগের দিন বুধবার ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চল লক্ষ্য করে ২১৫টিরও বেশি রকেট ছোড়ে হিজবুল্লাহ। পাল্টা হিসেবে দক্ষিণ লেবাননের একটি এলাকায় হামলা চালায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। একটি নিরাপত্তা সূত্রের ভাষ্য মতে, গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরুর হওয়ার পর ইসরায়েলে বৃহস্পতিবারই সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। আজ শুক্রবারও লেবাননের বন্দর নগরী টাইরের পূর্ব দিকের একটি ভবনে হামলা হয়েছে। হামলায় একজন বেসামরিক নারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেক শিশু আছে। লেবাননের দুটি নিরাপত্তা সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। হিজবুল্লাহর একটি বিবৃতিতে বলা হয়, তারা ইসরায়েলের উত্তর কমান্ডের সদর দফতর, একটি গোয়েন্দা সদর দফতর ও একটি সামরিক ব্যারাকেও সশস্ত্র ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে।
একটি নিরাপত্তা সূত্র গণমাধ্যমকে বলেছে, একযোগে কমপক্ষে ৩০টি ড্রোন দিয়ে ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে গুলি চালানো হয়। আট মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধের মধ্যে ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা এটি। সূত্র: রয়টার্স।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button