জাতীয় সংবাদ

৪ ফ্ল্যাটের চাবি বেনজীরের কাছে : প্রবেশ করতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ

প্রবাহ রিপোর্ট : পুলিশেরর সাবেক মহারিদর্শক বেনজির আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানের নামে কেনা রাজধানীর গুলশানের যে চারটি ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়েছে সেগুলোর চাবি রয়েছে বেনজির আহমেদের কাছে। এ কারণে দুদক সেখানে প্রবেশ করতে পারছে না। সেখানে প্রবেশ করতে একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন। এর আগে ওই ফ্ল্যাটে প্রবেশের জন্য গেলেও চাবি না থাকায় দেখভালে নিয়োজিত দুদক কর্মকর্তা ফিরে আসেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য জানান। জানা গেছে, দুদকের পরিচালক (সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইউনিট) মো. মঞ্জুর মোর্শেদ সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাটগুলোর অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে বিনা বাধায় ফ্ল্যাটে রিসিভারের প্রবেশ, মালামালের ইনভেন্টরি, স্পেসের পরিমাপপূর্বক ভাড়া নির্ধারণের বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেন। পরে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ বিষয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত ফ্ল্যাটে প্রবেশে একজন প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করেন। তার উপস্থিতিতে ফ্ল্যাটে প্রবেশ করবেন চারটি ফ্ল্যাটের দেখভালে নিয়োজিত থাকা দুদক কর্মকর্তা। দুদকের আবেদনে বলা হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বেনজির আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানের নামে কেনা গুলশান-১ এ অবস্থিত রাংকন আইকোন টাওয়ারের চারটি ফ্ল্যাটের সঠিক নিয়ন্ত্রণ, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দুদকের পরিচালক মো. মঞ্জুর মোর্শেদকে রিসিভার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ আদেশ পাওয়ার পর তিনি একটি টিমসহ গত ১৩ জুন সংশ্লিষ্ট বিল্ডিংয়ের ফ্ল্যাটগুলো পরিদর্শনে যান। এ ভবনের নীচতলায় রিসেপশনিস্ট মেহরাব হোসেন অপির সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এ ফ্ল্যাটগুলোতে বসবাস করেন না। ভবনের ম্যানেজার জসিমকে ভবনে পাওয়া যায়নি। পরে ফোন করেও পাওয়া যায়নি তাকে। সংশ্লিষ্ট ভবনের ১৩ ও ১৪ তলায় ডুপ্লেক্স আকারে ৯ হাজার বর্গফুটের বেশি স্পেস নিয়ে চারটি ফ্ল্যাট রয়েছে। ফ্ল্যাটগুলোর চাবি অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছে আছে। তবে বর্তমানে তিনি এ ভবনে বসবাস করেন না এবং কোথায় গেছেন তা কেউ বলতে পারেন না। আরও বলা হয়, সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাটগুলো রক্ষণাবেক্ষণকাজে সার্ভিস চার্জ, ইলেকট্রিসিটি বিল, পানি ও গ্যাস বিলসহ অন্যান্য আর্থিক খরচের বিষয়াদি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাটগুলো ভাড়া দেওয়া হলে ওই ফ্ল্যাটগুলো খুলতে হবে এবং এর বাণিজ্যিক বা আবাসিক ভাড়ার হার নিরূপণের জন্য গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে জায়গা পরিমাপ করা প্রয়োজন। এ ছাড়া ওই ফ্ল্যাটগুলোর ভেতরে অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিসপত্রের একটি তালিকা, ইনভেন্ট্রি করার জন্য একজন প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button