ড. ইউনূসের জামিনের মেয়াদ ১৪ আগস্ট পর্যন্ত বৃদ্ধি
প্রবাহ রিপোর্ট : গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান এবং নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার জনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আগামী ১৪ আগস্ট পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। গতকাল বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ আউয়ালের আদালত এই আদেশ দেন। এদিন ড. ইউনূসসহ অন্যান্য আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। কলকারখানা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের আগামী ১৪ আগস্ট পর্যন্ত জামিন বহাল রাখেন। ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য জানান। গত ১ জানুয়ারি শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার জনকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদ-, ৩০ হাজার টাকা অর্থদ- করেন আদালত। তবে আপিল করার শর্তে আসামিদের এক মাসের জামিন দেওয়া হয়। ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা এ রায় দেন। কারাদ-প্রাপ্ত অপর তিন আসামি হলেন, গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম এবং মো. শাহজাহান। গত ২৮ জানুয়ারি এই রায় চ্যালেঞ্জ করে ড. ইউনূসসহ চার জনকে জামিন দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত। সেদিন শ্রম আদালতের দেওয়া সাজা স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। ৫ ফেব্রুয়ারি ড. ইউনূসের ছয় মাসের সাজা স্থগিতের আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি স্থগিতের আদেশ বাতিল প্রশ্নে রুল জারি করেন আদালত। ১৮ মার্চ ড. ইউনূসের ছয় মাসের সাজা ও দ- শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে স্থগিতের আদেশ বাতিল করেন উচ্চ আদালত। ফলে ড. ইউনূসের ছয় মাসের সাজা চলমান থাকবে বলে রায়ে বলা হয়। জানা গেছে, ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চার জনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।