জাতীয় সংবাদ

নদ-নদীর পানি কমলেও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি

প্রবাহ রিপোর্ট : দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদ-নদীগুলোর পানি দুই কূল ছাপিয়ে লোকালয়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে প্রায় দুই সপ্তাহ হতে চললো। বন্যা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি না হলেও নদ-নদীর পানি কমছে। তবে এখনও ১২ জেলার নিম্নাঞ্চলের লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় দিন পার করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় গতকাল শনিবার এমন তথ্য জানিয়েছে। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানিয়েছেন, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানির সমতল হ্রাস পাচ্ছে যা তিনদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে যা একই সময় পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে, অপরদিকে পদ্মা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে যা অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীসমূহের পানির সমতল সার্বিকভাবে হ্রাস পাচ্ছে, যা দুদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। একই সময়ে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদী সংলগ্ন কুড়িগ্রাম, জামালপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। তবে পদ্মা নদী গোয়ালন্দ পয়েন্টে সতর্ক সীমায় প্রবাহিত হতে পারে। দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা নদী ও দুধকুমার নদের পানির সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। দুধকুমার নদ সংলগ্ন কুড়িগ্রাম জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। আবার মহানন্দা ব্যতীত দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আত্রাই নদী সংলগ্ন সিরাজগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির ধীর গতিতে উন্নতি হতে পারে। আগামী দুদিনে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় বলছে ১২ জেলার লাখ লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button