বরিশালে শিক্ষার্থীদের হাতে প্রকৌশলী আটক

প্রবাহ রিপোর্ট ঃ বিপুল পরিমান নগদ টাকা, ইউএস ডলার ও স্বর্ণালংকারসহ নগরীর চৌমাথা এলাকায় সড়ক শৃঙ্খলায় থাকা শিক্ষার্থীদের হাতে স্ব-পরিবারে আটক হয়েছেন পটুয়াখালী গণপূর্ত দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন-অর রশিদ। পরে তাকে সেনাবাহিনী ও ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়েছে। কোতোয়ালি মডেল থানায় বসে উদ্ধার হওয়া টাকা গণনা শেষে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের (বিএনসিসি) সুন্দরবন রেজিমেন্টের (সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ) সুজন হোসেন জানান, আটক প্রকৌশলীর কাছ থেকে বাংলাদেশী টাকার ২৭ লাখ ও ১২ লাখ টাকা মূল্যের ইউএস ডলারসহ মোট ৩৯ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া প্রায় এক কেজির মতো স্বর্ণালংকার রয়েছে। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব বলেন, নগরীর সিঅ্যান্ডবি রোডের হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকায় যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলায় নিয়োজিত রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি কালো রঙের প্রাইভেটকার দ্রুত ওভারটেক করে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা আটকে দেয়। এ সময় চালকের আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে গাড়িটি তল্লাশি করে ব্যাগ ভর্তি টাকা, ইউএস ডলার ও স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়। পরে তাদের আটক করে সেনাবাহিনী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে খবর দিয়ে তাদের কাছে সোর্পদ করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুজ্জামান পলিন বলেন, পটুয়াখালী গণপূর্ত দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন-অর রশিদের গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা, ডলার ও স্বর্ণালংকার সম্পর্কে তিনি (হারুন) কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে গাড়িসহ তাদের কোতোয়ালি মডেল থানায় নিয়ে টাকা ও স্বর্ণালংকারের পরিমাণ নিরূপণ করা হয়। শিক্ষার্থীদের কাছে আটক হওয়ার পর নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন-অর রশিদ জানান, তার বাড়ি কুষ্টিয়ায়। গত ৭ আগস্ট তার বাবা হাবিবুর রহমান দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। তার চিকিৎসার জন্য টাকা নিয়ে কুষ্টিয়ার উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। টাকার পরিমাণ সম্পর্কে জানতে চাইলে হারুন-অর রশিদ বলেন, ২০ লাখ টাকার মতো হবে। এছাড়া স্ত্রীর কিছু স্বর্ণালংকার রয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, একটি প্রাইভেটকারে (ঢাকা মেট্রো-গ ৩৫- ৪৬৬৪) প্রকৌশলী ছাড়াও তার স্ত্রী সুমা আক্তার, এক ছেলে, এক মেয়ে, গৃহপরিচারিকা ও চালক রয়েছেন। প্রাইভেটকারের চালক আলতাফ হোসেন জানান, প্রাইভেটকারটি ভাড়ার। তবে প্রকৌশলীর ছেলে তার নাম প্রকাশ না করলেও প্রাইভেটকারটি তাদের বলে স্বীকার করেছেন।