বসুন্ধরার চেয়ারম্যান ও এমডির বিরুদ্ধে মানহানির দুই মামলা

প্রবাহ রিপোর্ট : বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, তার ছেলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে পৃথক দুটি মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরফাতুল রাকিবের আদালতে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দিলীপ কুমার আগরওয়াল এক হাজার কোটি টাকার মানহানির অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন। অপর মামলাটি করেন ১০০ কোটি টাকার মানহানির অভিযোগে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সাবেক প্রেসিডেন্ট এনামুলক হক খান দোলন। দিলীপ কুমার আগরওয়ালের মামলায় আদালত আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন। এনামুল হকের মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার অপর আসামিরা হলেন- দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আবু তাহের, দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক, একই পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার হায়দার আলী, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের সিইও, ম্যানেজার আবু তৈয়ব, বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিজনেস রিপোর্টার রুহুল আমিন রাসেল, কালের কণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি রিপনুল হাসান (রিপন)। বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান ভূঁইয়া মামলাগুলোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মামলায় দুটির অভিযোগে বলা হয়, আহমেদ আকবর সোবহান ও সায়েম সোবহান আনভীরের নির্দেশে অন্যান্য আসামিরা দৈনিক কালের কণ্ঠ ও বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় ২৭ আগস্ট ‘সোনা চোরাচালানে অপ্রতিরোধ্য, আছে খুনের অভিযোগ, ধরা ছোয়ার বাইরে দুই মাফিয়া’ শিরোনামে ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ করে। তিনি (বাদী) আসামিদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা কোনো ধরনের সাড়া না দিয়ে বরং হুমকি দেয়। তাদের এ ধরনের মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান বাদী। গত ২৮ আগস্ট বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘শেখ সেলিমের স্বর্ণ পাচারে সহযোগী দোলন, ২০ হাজার কোটি টাকা পাচারে দিলীপ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে। ২৯ আগস্ট ‘দিলীপের ১৭ কোটি টাকার স্বর্ণ আটক’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে তারা সামাজিক, মানসিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তারা আসামিদের সঙ্গে হোটেল শেরাটনে বসেন। এ ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট খবর প্রকাশ না করার অনুরোধ করেন। আসামিরা তাদের কথায় কর্ণপাত না করে সংবাদ প্রকাশ করবে মর্মে হুমকি দেন। ৩০ আগস্ট বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় ‘ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ভ্যাট ফাঁকি ২৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা’ শিরোনামে খবর প্রকাশ করে। তারা এর প্রতিবাদ পাঠান। তবে পত্রিকায় তা ছাপা হয়নি। এতে তারা মানসিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।