স্বামীকে হত্যা করে লাশ নয় টুকরো করে ফেলা হয় সেপটিক ট্যাংকে

প্রবাহ রিপোর্ট ঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী অরুণ মিয়াকে (৭০) হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওঠে বৃদ্ধ স্বামীকে হত্যার পর লাশ নয় টুকরা করে পলিথিনে পেঁচিয়ে পাশের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন স্ত্রী মোমেনা বেগম। পরে স্বামী নিখোঁজ হয়েছেন বলে প্রচারণা চালাতে থাকেন। গত শুক্রবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিলেন অরুণ মিয়া। হত্যার চারদিন পর গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ফরদাবাদ গ্রাম থেকে খ-িত লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় স্ত্রী মোমেনা বেগম ও মেয়ে লাকী আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে প্রথম স্ত্রীর ছেলে লুৎফর রহমান রুবেল বাদী হয়ে সৎ মা মোমেনা বেগম ও সৎ বোন লাকি আক্তারকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন কুমার পাল জানান, পারিবারিক কলহের জেরে দ্বিতীয় স্ত্রী মোমেনা বেগম স্বামী অরুণ মিয়াকে মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করলে তার মৃত্যু হয়। মোমেনা লাশ নয় টুকরো করে নয়টি পলিথিনে বেঁধে পার্শ্ববর্তী সৌদি প্রবাসী মনির মিয়ার সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন। গত মঙ্গলবার রাতে ওই সেপটিক ট্যাংক থেকে দুর্গন্ধ বের হলে এলাকাবাসী সেখানে পলিথিনগুলো দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেপটিক ট্যাংক থেকে একে একে নয়টি পলিথিন ইট মোড়ানো অবস্থায় উদ্ধার করলে অরুণ মিয়ার ছেলে লাশ তার বাবার বলে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় অরুণ মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী মোমেনা বেগম ও মেয়ে লাকিকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।