বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলি, সেই মুছা গ্রেপ্তার

প্রবাহ রিপোর্ট : বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সিরাজগঞ্জ শহরে প্রকাশ্যে যার অস্ত্র উঁচিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল, সেই আবু মুছাকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। র্যাব-১২ সিরাজগঞ্জ সদরের কোম্পানি কমান্ডার এম আবুল হাশেম সবুজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের কলাতলী বিচ এলাকা থেকে ৪২ বছর বয়সী মুছাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব ১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম চৌধুরী। সিরাজগঞ্জ শহরের দত্তবাড়ি মহল্লার মৃত ছানোয়ার হোসেনের ছেলে মুছা সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি জান্নাত আরা হেনরীর ‘প্রধান ক্যাডার’ হিসেবে স্থানীয়দের কাছে পরিচিত। অনেকে তাকে ডাকে ‘কিলার মুছা’ নামে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র্যাব বলছে, এমপির সহযোগী হিসেবে মুছা সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকায় অস্ত্র ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জোরপূর্বক ভূমি দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকা-ে জড়িত ছিলেন। “এছাড়া ৪ অগাস্ট সরকার পতনের এক দফা দাবিতে সিরাজগঞ্জ শহরে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে হামলা চালানোর কথাও সে স্বীকার করেছে, যার ভিডিও ঘটনার পর বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল,” বলা হয়েছে র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। গত ৪ অগাস্ট আন্দোলন চলাকালে সিরাজগঞ্জ শহরে গুলি করে এবং কুপিয়ে যুবদল ও ছাত্রদলের ৩ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। ওই সব ঘটনায় সিরাজগঞ্জ সদর থানায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার মুছা প্রতিটি মামলারই এজাহারভুক্ত আসামী। সরকার পতনের পর গত দুই মাস ধরে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। কক্সবাজার থেকে সীমান্ত দিয়ে তিনি ‘পালানোর চেষ্টায় ছিলেন’ বলে র্যাবের ভাষ্য। ওই তিন মামলার অন্যতম আসামি সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি জান্নাত আরা হেনরী এবং তার স্বামী সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামীম তালুকদার লাবুকে গত সোমবার মৌলভীবাজার থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। যুবদল নেতা সোহানুর রহমান রঞ্জু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।