জাতীয় সংবাদ

সুনামগঞ্জে মা-ছেলের গলাকাটা লাশ উদ্ধার

প্রবাহ রিপোর্ট ঃ সুনামগঞ্জে বসত ঘর থেকে ফরিদা বেগম (৪৫) ও তার ছেলে মিনহাজ উদ্দিনের (২০) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে এসপি বাংলো সংলগ্ন হাসননগর এলাকার একটি ঘর থেকে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে। খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিহতদের গ্রামের বাড়ি জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায়। নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, পৌর শহরের এসপি বাংলো এলাকার একটি বাসায় ফরিদা বেগম তার ছেলে ভাড়া থাকতেন। পাশের কক্ষে তার খালাতো বোন ও বোনের ছেলেকে ভাড়া দিয়েছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে বাসায় গৃহকর্মী এসে ঘর খোলা ও মা-ছেলের লাশ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে স্বজনদের খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে লাশ উদ্ধার করে। সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি নাজমুল হক বলেন, গত সোমবার দিবাগত রাতে কোনো একসময় মা-ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার সময় ঘরের দরজা খোলা ছিল, মরদেহে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। পারিবারিক বিরোধ থেকেই এই হত্যাকা- সংগঠিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অবশ্য সিআইডির ক্রাইম সিন আলামত সংগ্রহের পর ক্লু মিলতে পারে। সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেন খান বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে ডাবল মার্ডারের ঘটনা ঘটতে পারে। সিআইডি ও পিবিআই এসে আলামত সংগ্রহ করেছে। তিনি বলেন, বাসায় থাকা খালাতো বোনের ছেলে ফয়সাল ও ফাহমিদ পলাতক রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহ থেকে তাদের হত্যা করা হতে পারে। সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের পর নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি। নিহত ফরিদা বেগম খালা-চাচি দুই সম্পর্কে আত্মীয় হন জানিয়ে রুপজ আহমদ নামে এক যুবক বলেন, তিনি ঢাকায় থাকেন। বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। সকালে তাদের কাছে ফোন যায় কে বা কারা তাদের ঘরে অ্যাটাক করেছে। কিন্তু পরবর্তীতে এসে হত্যাকা-ের ঘটনা দেখতে পান। যেহেতু এসপির বাংলোর কাছেই ঘটনা, তাই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে চূড়ান্ত শাস্তির দাবি জানান তিনি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button