জেলেদের হামলায় পদ্মায় নিখোঁজ এক এএসআইয়ের লাশ উদ্ধার

প্রবাহ রিপোর্ট : কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পদ্মা নদীতে নিখোঁজের প্রায় ৩৪ ঘণ্টা পর পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সদরুল হাসানের (৪০) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপর ২টা ৫৫ মিনিটে উপজেলার শিলাইদহ খেয়াঘাট এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। নিখোঁজ আরেক এএসআই মুকুল হোসেনকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এর আগে দুর্বৃত্তদের হামলায় গত সোমবার ভোরে উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের শ্রীখোল এলাকায় নিখোঁজ হন এ দুই এএসআই। এ ঘটনায় এক উপপরিদর্শকসহ (এসআই) আহত হয়েছেন আরও দুই ইউপি মেম্বার। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন উদ্ধার অভিযান পরিচালনাকারী ও কুমারখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সাব অফিসার ফিরোজ আহমেদ। তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে আনুমানিক দুই কিলোমিটার দূর থেকে ভাসমান অবস্থায় নিখোঁজ পুলিশ সদস্য সদরুলের লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ অপর পুলিশ সদস্যকে উদ্ধারে অভিযান চলছে। নিহত সদরুল হাসান পাবনার আতাইকুলা থানার কাজিপুর গ্রামের আবদুল ওহাবের বড় ছেলে। অপর নিখোঁজ এএসআই মুকুল হোসেন (৪০) মেহেরপুরের কালাচাঁদপুর গ্রামের মৃত আবদুল লতিফ বিশ্বাসের ছেলে। আহতরা হলেন কুমারখালী থানার এসআই নজরুল ইসলাম, কয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ছানোয়ার হোসেন ছলিম ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার আনোয়ার হোসেন টিটন। কুমারখালী থানার এসআই আশরাফুল ইসলাম জানান, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সহযোগিতায় নিখোঁজের প্রায় ৩৪ ঘণ্টা পরে এএসআই সদরুলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অপরজনের উদ্ধারে অভিযান চলছে।