চট্টগ্রামে সেপটিক ট্যাংকে নেমে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

প্রবাহ রিপোর্ট ঃ চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে সুপারি মজুত করার জন্য তৈরি করা সেপটিক ট্যাংকে পরিষ্কার করতে নেমে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিন জন। তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড পশ্চিম হাইদচকিয়ার হাজী গুন্নুমিয়া সওদাগরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মৃতরা হলেন- শফি (৩৮) ও শহিদুল্লাহ (৩৬)। তারা ওই এলাকার মৃত ছালেহ আহমদের ছেলে। আহতরা হলেন- শফি, তৌহিদুল আলম ও ফারুক। তারাও একই এলাকার বাসিন্দা। দুই ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তুহিন দাশ শুভ্র। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মহিন উদ্দিন জানান, শফি একজন পান-সুপারি ব্যবসায়ী। গত বৃহস্পতিবার রাতে টেকনাফ থেকে ট্রাকভর্তি সুপারি এনে প্রক্রিয়াজাতের জন্য তৈরি করা সেপটিক ট্যাংকে মজুত করে রাখেন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে পার্শ্ববর্তী অন্য সেপটিক ট্যাংকটি পরিষ্কার করতে নামলে শফি বিষক্রিয়ায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করতে নেমে তার ছোট ভাই শহীদুল্লাহও অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় পাঁচ জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখান থেকে আহত পাঁচ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানেই দুই জনের মৃত্যু হয়। বাকি তিন জন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ প্রসঙ্গে ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাঁচ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। একটি ৭-৮ ফুট পাকা ট্যাংকে এসব কাঁচা সুপারি মজুত রাখা হয়েছিল। সে সুপারি তুলতে গিয়েই মূলত এ ঘটনা ঘটেছে। ট্যাংকটিতে সুপারি পচে অতিরিক্ত মিথেন গ্যাস তৈরি হয়। ফলে অক্সিজেনের অভাবে তারা জ্ঞান হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।