তিন দফা দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

প্রবাহ রিপোর্ট : দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার অবরোধ করেন তারা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম আলোচনার প্রস্তাব দিলেও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করেন। শিক্ষার্থীদের তিনটি দাবি হলো- আগের সরকারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ প্রকল্প পরিচালককে আইনের আওতায় আনা এবং সাত দিনের মধ্যে প্রকল্প পরিচালক হিসেবে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসার নিয়োগ দেওয়া, সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করা হয়েছে- শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এমন ঘোষণা এবং হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা দিতে হবে, অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে বিগত সরকারের আমলে করা সব অনৈতিক চুক্তি বাতিল করতে হবে। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ক্যাম্পাসের ভাস্কর্য চত্বরে জড় হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক হয়ে শাঁখারীবাজার, রায়সাহেব বাজার মোড় হয়ে তাঁতীবাজার মোড়ে অবস্থান নেন তারা। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান করে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। পুরান ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ এই মোড় অবরোধে সদরঘাটগামী জনসন রোড, ধোলাইখালগামী ইংলিশ রোড, গুলিস্তানগামী নর্থসাউথ রোড ও বাবুবাজার ব্রিজে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পরেন যাতায়াতকারীরা। অনেকে যানবাহন থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যে রওনা দেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এদিকে রাস্তা অবরোধের কারণে আটকা পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম। পরে উপাচার্য গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে তাঁতীবাজার থেকে ক্যাম্পাসের উদ্দেশে রওনা দেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এটা এমন না যে বললেই কাজটা হয়ে যাবে। এটা একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া। সময় লাগবে। পরে সাড়ে ১২টা নাগাদ অবরোধ তুলে নিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য ডাকা হলে শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে স্লোগান দিতে থাকেন। আন্দোলনের মুখপাত্র ও ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা তৌসিব মাহাবুব সোহান বলেন, আমাদের দাবি মন্ত্রণালয়ের কাছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে নয়। আজকের মধ্যে তিন দফা দাবি মানা না হলে, আগামীকাল (আজ মঙ্গলবার) শান্ত চত্বরে বেলা সাড়ে ১১টায় জড়ো হয়ে আবারও তাঁতীবাজার অবরোধ করা হবে।