জাতীয় সংবাদ

লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৭০ বাংলাদেশি

প্রবাহ রিপোর্ট : যুদ্ধবিদ্ধস্ত লেবানন থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে ইচ্ছুক আরও ৭০ জন আটকে পড়া বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সূত্র জানায়, আজ মঙ্গলবার রাত ১১টায় আরেকটি ফ্লাইটে আরও ৩২ জন দেশে ফিরবেন। এ দিন সকালে বৈরুতের রফিক হারিরি বিমানবন্দর থেকে রওনা হবেন তারা। এর আগে গত রোববার রাত ১১ টায় এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে দুবাই হয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান ৭০ জন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, বৈরুত, লেবানন ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সহযোগিতায় তাদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, সম্পূর্ণ সরকারি ব্যয়ে এ পর্যন্ত মোট ৩৩৮ বাংলাদেশিকে লেবানন থেকে দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। এর আগে, ইসরায়েলের হামলায় বিপর্যস্ত লেবানন থেকে ২৬৮ জনকে ফেরত আনা হয়। এর মধ্যে, গত ২১ অক্টোবর প্রথম দফায় ফেরত এসেছেন ৫৪ জন। এরপর ২৩ অক্টোবর দুটি ফ্লাইটে ৯৬, ২৮ অক্টোবর মধ্যরাতে ৩০, ২৯ অক্টোবর রাতে ৩৬ এবং ৩১ অক্টোবর ৫২ জনকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। প্রত্যাবাসন করা অসহায় এসব বাংলাদেশি নাগরিককে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর কর্মকর্তারা। আইওএম এর পক্ষ থেকে লেবানন থেকে প্রত্যাবাসনকৃত প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা, কিছু খাদ্য সামগ্রী ও প্রাথমিক মেডিকেল চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। লেবাননে চলমান সাম্প্রতিক যুদ্ধাবস্থায় যত জন প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসতে চায় তাদের সবাইকেই সরকার নিজ খরচে দেশে ফেরত আনবে। বাংলাদেশ দূতাবাস, বৈরুত থেকে দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তনের জন্য এবং যে সব প্রবাসী বাংলাদেশি ফিরে আসতে অনিচ্ছুক তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে। এক বিজ্ঞপ্তিতে বৈরুতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, লেবাননে চলমান যুদ্ধপরিস্থিতির কারণে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যারা স্বেচ্ছায় দেশে যেতে দূতাবাস বরাবর আবেদন করেছেন এবং যাদের পাসপোর্ট, আকামাসহ আবশ্যক ট্রাভেল ডকুমেন্টস প্রস্তুত রয়েছে, তাদের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দূতাবাসের ব্যবস্থাপনায় দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button