যে সংস্কারে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়, আমরা সেটাই চাই : তারেক রহমান
সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের স্মরণসভা
প্রবাহ রিপোর্টঃ ভার্চুয়াল বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমরা সংস্কার চাই। যে সংস্কার করলে সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে, যে সংস্কার করলে বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে, যে সংস্কার করলে নারীদের স্বাধীনতা ও অধিকার নিশ্চিত হবে, যে সংস্কার করলে আমাদের সন্তানরা সুশিক্ষা পাবে, যে সংস্কার করলে দেশের মানুষ নিশ্চিতভাবে সুচিকিৎসা পাবে।’ ‘অনেকেই এখন সংস্কারের কথা বলছেন, কিন্তু মনে করে দেখুন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্যে ভিশন-২০৩০ নামে সর্বপ্রথম সংস্কারের কথা বলেছেন’, বলেন তিনি। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য, সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। তার বক্তব্য সরাসরি দেখা ও শোনার জন্যে মঞ্চের পাশে বিশাল একটি স্ক্রিনের (জায়ান্ট স্ক্রিন) ব্যবস্থা করা হয়। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকালে যশোর টাউন হল মাঠের স্বাধীনতা মঞ্চে জেলা বিএনপি আয়োজিত এই স্মরণসভায় তিনি আরও বলেন, ‘স্বৈরাচারের পালিয়ে যাওয়ার পর দেশে এখন একটি রাজনৈতিক ক্রান্তিকাল চলছে। স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের প্রেতাত্মারা এখনও বিভিন্ন স্থানে রয়েছে। সেখানে বসেই তারা তাদের নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।’ বিএনপির প্রয়াত নেতা তরিকুলের ইসলামের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই ক্রান্তিকালে তার মতো একজন প্রাজ্ঞ রাজনীতিক থাকলে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম। তার অভাব এখন অত্যন্ত প্রকটভাবে অনুভব করছি।’ প্রয়াত জননেতা তরিকুল ইসলামের রাজনৈতিক জীবনের সোনালি অধ্যায়গুলো উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান আরও বলেন, ‘১৯৪৬ সালের ১৬ নভেম্বরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন, আবার ২০১৮ সালের ওই নভেম্বর মাসের ৪ তারিখে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যান। তৃণমূল মানুষের সঙ্গে তরিকুল ইসলামের আত্মিক সম্পর্ক ছিল। তার জীবদ্দশায় তিনি কখনোই তাদের সঙ্গ থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করেননি। এই মানুষটি কখনোই প্রাচুর্যের পিছনে ছোটেননি। তিনি কখনোই আদর্শচ্যুত হননি। ৯০-এর স্বৈরাচার এবং পতিত স্বৈরাচারের সময়কালে তিনি অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। কিন্তু নিজের আদর্শ থেকে এক চুলও নড়েননি। এই প্রজন্মের নেতাকর্মীদের বলবো তার জীবনী থেকে শিক্ষা নিতে।’ ‘দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের কাছে তিনি অনন্য উচ্চতায় রয়েছেন, সর্বস্তরের মানুষ তাকে শ্রদ্ধা করে কৃতজ্ঞচিত্তে’, বলেন তিনি। জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকনের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় দলের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কু-ু, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, অ্যাড. নজরুল ইসলাম, প্রেস ক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, শিক্ষক প্রতিনিধি অধ্যক্ষ আইয়ুব হোসেন, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি চিন্ময় সাহা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপঙ্কর দাস রতন, ছাত্রদলের জেলা সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর প্রমুখ বক্তৃতা করেন।