জাতীয় সংবাদ

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ও জেনারেল ম্যানেজারকে গ্রেপ্তারের দাবি

প্রবাহ রিপোর্ট : বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর এবং জেনারেল ম্যানেজার শাহ আলমের বিরুদ্ধে জনসাধারণের আমানত লুটপাটে সহায়তা করার অভিযোগ এনে তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং কোম্পানিতে আমানত রাখা ব্যক্তিরা। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে ‘ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ব্যক্তি আমানতকারী ফোরামের’ ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান তারা। ফোরামের কো-অর্ডিনেটর তাসদিক আহমেদ লিখিত বক্তব্যে বলেন, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স পাওয়া একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে জনসাধারণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক উৎস থেকে আমানত নিতে বৈধতা দিয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের বর্তমান দুরবস্থা ব্যবসায়িক লাভ-ক্ষতির জন্য না বরং সরাসরি লুটপাটের জন্য হয়েছে। এই লুটপাট পিকে হালদার সিন্ডিকেট করতে পেরেছে বিএসইসি এবং বাংলাদেশ ব্যাংক– এই দুটি রেগুলেটরি সংস্থার কারণে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর এবং জেনারেল ম্যানেজার শাহ আলম সরাসরি জনসাধারণের আমানত লুটপাটে এই সিন্ডিকেটকে সহায়তা করেছেন। তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন করা দরকার। তিনি বলেন, ২০২০ সালে হাটকোর্ট থেকে অবসরপ্রাপ্ত আমলা নজরুল ইসলাম খানকে (এনআই খান) চেয়ারম্যান করে নতুন একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ চার বছর পার হলেও আমরা বলছি, একজন অবসরপ্রাপ্ত আমলার নেতৃত্বাধীন পরিচালনা পর্ষদ আমাদের স্বার্থ রক্ষায় একেবারেই অক্ষম। তিনি এই ডুবন্ত প্রতিষ্ঠানে তার পরিবার ও পরিজন থেকে ৭-১০ জনকে চাকরি দিয়েছেন। এই কেম্পানির চেয়ারম্যান থেকে কোম্পানির কুমিরের খামার (ময়মনসিংহে অবস্থিত) ‘উদ্দীপন’ নামে একটি এনজিওকে দিয়েছেন, যার চেয়ারম্যানও তিনি। এখানে আমানতকারীদের স্বার্থ বেশ ভালভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এনআইখানকে অবিলম্বে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যহতি দিয়ে এ সব কাজ স্বল্প সময়ের মধ্যে অনুসন্ধান করে দোষ পাওয়া গেলে তাকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তাসদিক আহমেদ বলেন, ‘ব্যক্তি আমানতকারীদের আজীবনের সঞ্চয় গত ছয় বছর ধরে আটকে আছে। এ সময় ১ হাজার ৪০০ ব্যক্তি আমানতকারী বাংলাদেশি নাগরিকের যে সঞ্চয় তার অন্তত ৭০ শতাংশ মূল্য হারিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের জন্য আমাদের আমানত গত ছয় বছর ধরে আমরা ফেরত পাচ্ছি না। এর দায়িত্ব অবশ্যই বাংলাদেশ ব্যাংকের নেওয়া উচিত। কিন্তু তা তারা না নিয়ে টাকা উদ্ধারের পুরো দায়িত্ব আমাদের ওপর ছেড়ে দিয়েছে। এ সময় ফোরামের পক্ষ থেকে তিনি চার দফা দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হলো– এনআইখানকে বরখাস্ত করে বর্তমান পর্ষদ এখনই ভেঙে দিতে হবে; এসকে সুর এবং শাহ্ আলমকে গ্রেপ্তার করে এখনই বিচারের আওতায় আনতে হবে; বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর যাতে ব্যক্তি আমানতকারীদের বক্তব্য শোনেন সেই ব্যবস্থা করতে হবে এবং ব্যক্তি আমানতকারীদের টাকা এখনই ক্ষতিপূরণসহ ফেরত দিতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ব্যক্তি আমানতকারী ফোরামের সভাপতি বাদল নন্দী, জেনারেল ডিপোজিটর সোহেল আহমেদ, নাসরাত হোসেন, জাওয়াদুল ইসলাম প্রমুখ।

 

সংশ্লিষ্ট সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন
Close
Back to top button