কক্সবাজারে বঙ্গবন্ধুর নামে একাডেমি স্থাপনে ৭০০ একর বনভূমির বন্দোবস্ত বাতিল
প্রবাহ রিপোর্ট : কক্সবাজারের সংরক্ষিত বনে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমি অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ স্থাপনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে বরাদ্দ করা সাতশ একর বনভূমির বন্দোবস্ত বাতিল করেছে সরকার। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের অনুরোধে এই বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। গত রোববার ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে এ বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ওই চিঠিতে ভূমি মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘বঙ্গবন্ধু একাডেমি অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ নির্মাণের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে বন্দোবস্ত করা কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলার ঝিলংজা এলাকার ‘পাহাড়’ শ্রেণির ৪০০ একর ও ‘ছড়া’ শ্রেণির ৩০০ একরসহ মোট ৭০০ একর জমি রক্ষিত বনের গেজেটভুক্ত হওয়ায় এই বন্দোবস্ত বাতিল করা হয়েছে। গত ২৯ আগস্ট এ বিষয়ে একটি আধা-সরকারি চিঠি পাঠান পরিবেশ উপদেষ্টা। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বন্দোবস্ত করা এলাকা ১৯৩৫ সাল থেকে বন আইন ১৯২৭-এর ২৯ ধারার আওতায় রক্ষিত বন হিসেবে ঘোষিত। এই ২ হাজার ১৪৫ দশমিক ২ একর ভূমির অংশে গর্জন, চাপালিশ, তেলসুরসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা এবং হাতি, বানর, বন্য শুকরসহ বিভিন্ন প্রাণীর আবাসস্থল রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ সালে এই বনভূমিতে বনায়ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। রেকর্ডে ‘রক্ষিত বন’ উল্লেখ না থাকায় বন বিভাগ এ বিষয়ে মামলা করে। পাশাপাশি, ভূমির বন্দোবস্ত বাতিল চেয়ে একটি রিট মামলাও হাইকোর্টে দায়ের করা হয়। হাইকোর্ট বিভাগ এ বন্দোবন্তের বিষয়ে স্থগিতাদেশ দেন, যা আপিল বিভাগে বহাল রয়েছে। ১৯৯৯ সালে ঝিলংজা ইউনিয়নকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করে বনভূমির গাছ কাটাসহ প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন নিষিদ্ধ করা হয়। ৭০০ একর রক্ষিত বনও এই সংকটাপন্ন এলাকার অন্তর্ভুক্ত।